॥ আকাশ মনু ॥
বর্তমান সরকার যেভাবে উন্নয়ন করে যাচ্ছে তার আলোকে অচীরেই ফারুয়ার মতো দুর্গম এলাকাতেও বিদ্যুৎ এবং মোবাইল নেটওয়ার্কের টাওয়ার হবে। ফারুয়ার মতো দুর্গম এলাকাতে এর আগে কেউ কল্পনা করেনি গাড়ির সংযোগ ঘটবে কিন্তু বর্তমান সরকার সে অসম্ভব কাজটি সম্ভব করেছে। বৃস্পতিবার ফারুয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ ও তিনটি বৌদ্ধ বিহারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে এমন মন্তব্য করেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।
এমপি বলেন, ফারুয়া বাজার এবার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ বাজার যদি কোনো উচু স্থানে স্থানান্তর করার প্রয়োজন হয় তাহলে সকলের সাথে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাপ্তাই হৃদ ড্রেজিংসহ রাইংখ্যং খাল খনন করা হবে জানান তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে রাঙামাটি বিলাইছড়ির ফারুয়া ইউনিয়নে ভয়াবহ বন্যায় বসতঘর, ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এতে নিঃস্ব হয়ে পড়ে ঐ ইউনিয়নের কয়েকহাজার সহজ-সরল সাধারণ মানুষ। এসব অসহায় মানুষদের কষ্ট লাঘবে ৩০৮টি পরিবার প্রতি ৬হাজার টাকা করে নগদ অর্থ বিতরণ করেছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাঙামাটি ইউনিট। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। বৃহস্পতিবার সকালে ৩নং ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বিতরণী কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা, থানার অফিস ইনচার্জ আকতার হোসেন, রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, রাঙামাটি পাবলিক কলেজর অধ্যক্ষ তাসাদ্দিক হোসেন কবির, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যা, ২নং ওয়ার্ড মেম্বার আনন্দ তঞ্চঙ্গ্যা সহ অন্যান্যরা।
এসময় বক্তারা বলেন, এর আগেও ফারুয়া ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। বর্তমান সরকার এগিয়ে এসেছে। বর্তমান সরকার আসার পর দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো ত্রাণ পৌছেছে। যাতায়াতের ব্যবস্থা উন্নতির পাশাপাশি মানুষের জীবনমানের সুবিধা বেড়েছে। বক্তারা আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পাশের থাকার জন্য এলাকাবাসীর কাছে আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসের টানা বর্ষণে রাঙামাটি জেলার কয়েকটি উপজেলায় নিম্মাঞ্চলে বেশ কয়েকটি এলাকা বন্যার কবলে পড়ে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় ঐসব এলাকায় বসবাসকারী কয়েক হাজার মানুষের।
বিলাইছড়ি উপজেলায় এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য বিলাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন, রেড ক্রিসেন্ট, বিভিন্ন এনজিও, ননএনজিও সংস্থা সমূহ খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছে।
কিন্তু যে পরিমাণ ক্ষতি সাধন হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে সরকারের পক্ষ থেকে আরো বড় অর্থের সহযোগিতার দাবি জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। পাশাপাশি বেসরকারি ও বিত্তবানদের এগিয়ে আশার আহ্বান জানানো হয়। পরে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা ক্ষতিগ্রস্ত ফারুয়া বাজার পরিদর্শন করেন।