॥ মঈন উদ্দন বাপ্পী ॥
রাঙামাটিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি বলেছেন, পার্বত্যাঞ্চল অনেক সমৃদ্ধ এলাকা। এখানে জীব বৈচিত্র রয়েছে। কিন্তু আপনারা পাহাড় ধ্বংস করছেন, বন ধ্বংস করছেন। প্রয়োজনীয় বনাঞ্চল না থাকায় খাবারের অভাবে হাতি লোকালয়ে চলে আসে। খাবারের ব্যবস্থা করে দিলে হাতি লোকালয়ে আসবে না।
শুক্রবার (১০মার্চ) বিকেলে কাপ্তাই উপজেলার প্রশান্তি পার্কে বন্য হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ৩১ পরিবারের মাঝে সরকারি অনুদানের চেক বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারি লোক এবং সাধারণ মানুষ সবাই বেশি বেশি করে গাছ লাগানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। কারণ এসডিজি লক্ষ্য পূরণ করতে হলে আমাদের আরো ৩০% বন বাড়াতে হবে। ।
ফরেস্ট বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ৩১ পরিবারকে আট লাখ ৬৫হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
রাঙামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো.আমির হোসেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাশ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় বিষয়ক মন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. আখতারউজ-জামান, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম।
এসময় রাঙামাটি উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অজিত কুমার রুদ্র, রাঙামাটি দক্ষিন বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সালেহ মোহাম্মদ সোয়েব খানসহ বন বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী কাপ্তাইমুখ বিটের পুরাতন বন বাগান পরিদর্শন করেন।
এর আগে ওইদিন দুপুরে মন্ত্রী কাপ্তাই হ্রদের ইকো- ট্যুরিজম সম্ভবনা ও জীববৈচিত্র পরিদর্শনের লক্ষ্যে রাঙামাটি হতে বরকল উপজেলাস্থ কাচালং ফরেস্ট অফিস পরিদর্শন করেন এবং গাছের চারা রোপন করেন। এরপর কাপ্তাই উপজেলায় হাতি-মানুষ দ্বন্ধ নিরসনে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান এলাকায় ৮কিলোমিটার এলাকাজুড়ে স্থাপিত সোলার ফেন্সিং সিস্টেমের উদ্বোধন করেন।
এদিকে একই দিন সকালে মন্ত্রী রাঙামাটিতে বিভাগীয় বন কর্মকর্তাদের জন্য ছয় তলা অফিস ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্থর উদ্বোধন করেন।