বরকলে নারীকে ব্ল্যাকমেইল করে নকুল শর্মা জেল হাজতে

378
XIAOYI DIGITAL CAMERA

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
এক নারীর অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ করে নানাভাবে হয়রানী করার অপরাধে রাঙামাটি বরকল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্ত্বা আইনে মামলার প্রায় ৬ মাস পর মামলার প্রধান আসামী নকুল চন্দ্র শর্মাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) সদস্যারা নকুল চন্দ্র শর্মা (৩১)কে আটক করে । পরে তাকে বরকল থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. কামাল হোসেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার রাঙামাটি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আসাদ উদ্দীন আসিফ এর আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এদিকে ভুক্তভোগী ঐ নারীর অভিযোগ অপর চার আসামী পুলিশের নাগের ডগায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও অজ্ঞাত কারণে আটক করছেনা পুলিশ। মামলার ঐ আসামীরা হলো- ২। মো. সোহেল ৩। মো. সুমন পারভেজ উভয়ের পিতা-  আব্দুল মালেক, গ্রাম- হরিণা বাজার এলাকা (আমতলা), ৪। মো. ইউছুফ রানা, পিতা-মৃত আলি আহম্মদ, গ্রাম- হরিণা বাজার এলাকা (আমতলা), থানা- বরকল, উপজেলা- বরকল ও ৫। অমর শান্তি চাকমা, পিতা- চিরনজীব চাকমা, মাতা- ইন্দ্রদেবী চাকমা, গ্রাম-কুসুমছড়ি, সুভলং, বর্তমান ঠিকানা- গ্রাম-ধনুবাগ-মাষ্টার পাড়া (সূর্যের হাসি ক্লিনিক ছ্টো হরিণা শাখা), থানা- বরকল, উপজেলা- বরকল, জেলা-রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।

উল্লেখ্য, মামলার বিবরনে জানা যায়, গত ২০১৬ সালের ১লা অক্টোবর মাসে রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলায় ছোট হরিণায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বাদি চাকুরীতে যোগদান করেন। কর্মস্থলে থাকার সুবাদে ১১ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে ছোট হরিণা বাজারের ব্যবসায়ী নকুল চন্দ্র শর্মা, পিতা-মৃত সুধন চন্দ্র শর্মা, গ্রাম-হরিণা বাজার এলাকা, থানা- বরকল, উপজেলা- বরকল, জেলা-রাঙামাটি পার্বত্য জেলা এর সাথে বাদির পরিচয় ঘটে। সেই সুবাদে নকুল চন্দ্র শর্মা বাদির অফিসে প্রায় সময় যাতায়াত করিত, এক পর্যায়ে তার সাথে বাদির ঘনিষ্ঠতার মাধ্যমে বন্ধুত্ব সর্ম্পক গড়ে উঠে। পরিচয় হওয়ার কারণে রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলায় ছ্টো হরিণা শাখায় বসে গত ১০ জুলাই-২০১৮ সালে ব্যবসায়ী নকুল চন্দ্র শর্মা তার ব্যবসার পুজির জন্য প্রথম কিস্তিতে নগদ সত্তর হাজার টাকা লোন হিসাবে বাদির নিকট থেকে গ্রহন করে। সত্তর হাজার টাকা লোন নেয়ার একমাস পর বিকাশের মাধ্যমে নকুল চন্দ্র শর্মা বাদির নিকট থেকে আবার ২২ আগষ্ট-২০১৮ সালে বিকাশের মাধ্যমে ২য় কিস্তিতে ত্রিশ হাজার টাকা লোন হিসাবে গ্রহন করে এবং বাদির পাওনা একলক্ষ টাকা দুই মাসের মধ্যে ফেরত দিবে বলে মৌখিক শর্ত দেয় ।

কিন্তু টাকা প্রদান না করে নানা তালবাহানার পর ১১ জানুয়ারি-২০১৯  নকুল ০১৮৬৬৬৭০০২৫ ও ০১৮৬৬৬৭০০২৬ ইমু নাম্বার থেকে বাদির ইমু নাম্বারে একটি পর্ণো ভিডিও পাঠায়। নকুল চন্দ্র শর্মার পাঠানো পর্ণো ভিডিও ক্লিপ দেখার পর হতভম্বব হয়ে পড়েন। এরপর থেকে পর্নেগ্রাফি ভিডিও ক্লিপ দেখিয়ে বাদিকে বার বার ব্যাক্লমেইলিং করতে থাকে।