॥ ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি ॥
বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নের বরুণাছড়ি সার্বজনীন বনবিহারে দুই দিনব্যাপী ৮ম দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার চীবর বুনন ও মঙ্গলবার দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে বুদ্ধপুজা, বুদ্ধমুর্তিদান,সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, কঠিন চীবর দান, কল্পতরু দান, পিন্ডুদানসহ আকাশপ্রদীপ ও বিভিন্ন ধানীয় সামগ্রীর উৎসর্গ করা হয়। এতে দূর-দুরান্ত থেকে হাজারো পুণ্যার্থী অংশগ্রহণ করেন।
মঙ্গলবার সকালে প্রথমে ভিক্ষু সংঘের প্রধান বৌধিরত্ন উপাধিপ্রাপ্ত বনভান্তের প্রধান শিষ্য ভদন্ত নন্দপাল মহাস্থবিরকে ফুলের তোরা দিয়ে বরণ করে নেন পুণ্যার্থীরা। পরে উদ্বোধনী ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় দানোৎসব। দুপুরে কঠিন চীবর ও কল্পতরুকে প্রদক্ষিণ করে আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয়। ঢোলের তালে মূখর হয়ে উঠে বিহার প্রাঙ্গণ। উৎসব মূখর পরিবেশে ভিক্ষু সংঘের সমীপে কঠিন চীবর প্রদান করেন উদযাপন কমিটির সভাপতি মায়ারতন চাকমা ।
কঠিন চীবর দানোৎসবের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৌদ্ধরত্ন উপাধিপ্রাপ্ত ও বনভান্তের প্রধাণশিষ্য ভদন্ত শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির। আরো উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি দীঘিনালা বনবিহার আবাসিক সিনিয়র ভিক্ষু ভদন্ত শ্রীমৎ শুভবর্ধণ মহাস্থবির,দিঘীনালা বনবিহারের উপাধ্যক্ষ প্রিয়ানন্দ মহাস্থবির, ধুতাঙ্গ টিলা বনবিহারের অধ্যক্ষ দেবধাম্মা মহাস্থবির, বরুণাছড়ি সার্বজনীন বনবিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ কুলজ্যোতি ভিক্ষুসহ অন্যান্য ভিক্ষু প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক জ্ঞান রঞ্জন চাকমার অনুষ্ঠান পরিচালায় পঞ্চশীল প্রার্থনা পাঠ করেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি বসুদেব চাকমা ও প্রতিচার্য্য চাকমা। বিশেষ প্রার্থনা পাঠ করেন টিপটিপ চাকমা ও বিক্তরিয়া চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন যমচুগ বনাশ্রম ভাবনাকেন্দ্রের বিহার পরিচালনা সাধারণ সম্পাদক রূপক চাকমা। বরুণাছড়ি সার্বজনীন বনবিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি বসুদেব চাকমা।
এসময় ধর্মদেশক বৌদ্ধরত্ন উপাধিপ্রাপ্ত ও বনভান্তের প্রধাণশিষ্য ভদন্ত শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির করোনা ভাইরাসের প্রতি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পেতে অবশ্যই নিজেকে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি সাংসারিক জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ করতে হলে দান, শীল,ভাবনা ও গৃহীদের পঞ্চশীলের বিকল্প নেই।