॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
তৃণমূল সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাডওয়ার্ড পাওয়ায় রাঙামাটি জেলার প্রবীণ সাংবাদিক পার্বত্য চট্টগ্রাম সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
বুধবার (১ জুন) রাঙঙ্গামাটি জেলার প্রবীণ সাংবাদিক ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ এর জেল রোর্ডস্থ তার নিজ বাসভবনে প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দরা তাকে অভিনন্দন জানান এবং ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন।
এসময় রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, প্রেস ক্লাবের সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক মিল্টন বাহাদুর, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি ও প্রেস ক্লাবের সদস্য মনসুর আহমেদ, ৭১টি রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি ও প্রেস ক্লাবের সদস্য উচিংছা রাখাইন কায়েস, প্রেস ক্লাবের সদস্য দীপ্ত হান্নান, বিজয় ধর, মঈন উদ্দিন বাপ্পি, নুরুল আলম মানিক, মো. সোহরাওয়ার্দী সাব্বির প্রমুখ।
ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের সংবাদপত্রের গুরু এ কে এম মকছুদ আহমেদ না থাকলেও হয়তো পার্বত্যাঞ্চলে আজ এতোগুলো সাংবাদিক সৃষ্টি হতো না। তিনি সাহস জুগিয়েছেন বলেই আজ পার্বত্যাঞ্চলে অনেক সংবাদকর্মী ও সংবাদ পত্রের জন্ম হয়েছে। আর সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামে তার অবদান আছে বলেই আজ তৃণমূল সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাডওয়ার্ড পেয়েছেন। যা পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার জন্য যেমন গর্বের বিষয়। তেমনী পাহাড়ে নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকরা সাংবাদিকতায় অবদান রাখতে সচেস্ট হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় রাঙ্গামাটি জেলার প্রবীণ সাংবাদিক পার্বত্য চট্টগ্রাম সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ বলেন, গত ৩০ শে জুন ২০২২ সাল আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ট দিনগুলোর মধ্যে অন্যতম একটা দিন। এইদিন আমি আমার সাংবাদিকতার জীবনের সর্বশ্রেষ্ট পাওনা। এদিন বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাডওয়ার্ড প্রাপ্তি সর্বশ্রেষ্ট এবং স্মারনীয় দিন।
তিনি বলেন, শুধু আমি নয়, আমার পরিবারের সকলের জন্য এটা একটা শ্রেষ্ট দিন। আমি বসুন্ধরা গ্রুপ এর সকলের নিকট আজীবন ঋণী হয়ে রইলাম। আমার ৫৩ বজরের এই সাংবাদিকতা জীবনে চারণ সাংবাদিক, পথিকৃত সাংবাদিক, গ্রামীন সাংবাদিক, তৃণমূল সাংবাদিক, মাদার তেরেসা পদক ও বিদেশ থেকে সম্মাননা এবং অনেক অনেক সম্মাননা পদক পেয়েছি। আর সবকিছুর উর্দ্বে বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাডওয়ার্ড। তাই আমি অবিভূত।
তিনি আরো বলেন, জীবনে শত শত অনুষ্ঠানে যোগদান করেছি। এমন কি বঙ্গবন্ধু জীবিতকালে রাঙ্গামাটি সদরের তিনটা অনুষ্ঠানে যোগদান করার সৌভাগ্য হয়েছিলো আমার। কিন্তু বসুন্ধরার মিডিয়া অ্যাডওয়ার্ড এর জমকালো অনুষ্ঠানের মত এত বিশাল এবং এত দীর্ঘ সময় ধরে অনুষ্ঠান আর দেখিনি। সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিদেশী রাষ্ট্রদূতসহ সকল পর্যায়ের অতিথিবৃন্দ, সর্বোপরী অ্যাডওয়ার্ড প্রাপ্ত কলম সৈনিকবৃন্দের উপস্থিতি সম্মিলিত এটাই আমার জীবনের সবচাইতে প্রাপ্তি।