বাইশারী- ইদগড় সড়কে বেহাল দশা, দূর্ঘটনার শঙ্কা

112

॥ নুরুল কবির ॥

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী -ইদগড় সড়কে টানা বর্ষনে ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে ব্যাপক সড়কে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে খান খন্দ সহ অনেক জায়গায় ফাটল এবং বড় বড় গর্ত হয়েছে। আর যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন গাড়ী চালক ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

সরজমিনে দেখা যায়, বাইশারী -ইদগড় সড়কটি খুব গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। প্রতিদিন উক্ত সড়ক পথে মিনিবাস, জীপ, ট্রাক, সিএনজি, মাইক্রো, নোহা সহ মালবাহী ট্রাক চলাচল করে থাকে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত চলাচল করছে রাবার বহনকারী ভারী যানবাহন কাভাডর্ ভ্যান। যার ফলে সড়কের মাঝখানে অলির ঝিরি নামক স্থানে বন্যার কারনে সৃষ্টি বড় গর্তটি ধ্বসে গিয়ে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা লক্ষ করা গেছে।

দীর্ঘ ৮ কিঃমিঃ সড়কটি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলজিইডি কতৃক গত ৩ বছর আগে সড়কসহ কার্পেটিং ধারা উন্নয়ন করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি টানা বর্ষনের ফলে সড়কের বেংডেবা, আমমুইল্লাকুম, করলিয়ামুরা, বৈদ্যা পাড়া, পানিস্যা ঘোনা, রেনুর ছড়া, ইদগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের পার্শ্ব সহ বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছ।

গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন যাত্রী সাধারণ ছাড়া ও প্রতি মাসে কোটি টাকার রাবার পন্য রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি পাহাড়ের উৎপাদিত সবজি ও রবি শস্য এবং ফলফলাদি রপ্তানি হচ্ছে। সরকার পাচ্ছে লক্ষ টাকার রাজস্ব। তাই জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি মেরামত না হলে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন বাইশারী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহাংগীর আলম বাহাদুর।

বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি মহোদয়ের আন্তরিকতায় বিগত দিনে সড়কটি প্রসস্থ করনসহ কার্পেটিং ধারা উন্নয়ন করা হয়ে ছিল। সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতির বিষয়টি তিনি অবগত রয়েছেন এবং বিষয়টি তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন এবং দ্রুত কাজ করা হবে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, বন্যার পরপরই নাইক্ষংছড়ি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার গুলো পরির্দশন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ বান্দরবান জেলা জানানো হয়েছে তবে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক গুলো অচিরেই পুর্ন মেরামতের কাজ করা হবে।