বাজার বয়কটের মাধ্যমে লক্ষীছড়ি ও সাজেকে ইউপিডিএফ’র শক্তি প্রদর্শন: শান্তিচুক্তি পূর্ব অবস্থায় ফিরছে পাহাড়

290
লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা
লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা

স্টাফ রিপোর্ট- ১৩ জানুয়ারী ২০১৭, দৈনিক রাঙামাটি: পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনীতি ধীরে ধীরে শান্তিচুক্তি পূর্ব অবস্থায় ফিরতেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা বিদেশী তৈরী একটি পিস্তল ও ৫ রাউন্ড তাজা গুলিসহ আটকের পর তার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে ইউপিডিএফ’র আন্দোলনের পর সংগঠনটি লক্ষীছড়ি উপজেলা বাজার ও সাজেকের মাচালং বাজার বয়কট কর্যক্রম শুরু করে। এছাড়া সাজেকের বাঘাইহাট ও গঙ্গারাম বাজারেও বয়কট চলছে। বাজার বয়কটের খবরে আতঙ্কিত হয়ে ভরা মৌসুমেও সাজেক এলাকায় সাধারণ পর্যটকের সংখ্যা কমে আসছে। এতে করে সাজেকের রুইলুই পাড়ার সাধারণ পর্যটক ব্যবসায়রা।

বাজার বয়কটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি উপজেলা ও রাঙামাটির সাজেকের স্থানীয় উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে। আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাঙালি সম্প্রদায়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের নিরাপত্তার স্বার্থে মাঠে রয়েছে পুলিশ ও আইনশৃংখলা বাহিনী।

বাজার বয়কটের ঘটনায় স্থানায়দের দাবী একটি চক্রের চাপের মূখে সাধারণ পাহাড়ীরা বাজারে আসতে পারছেনা। এটি বাজার বয়কট নয় বরং প্রাণের ভয় দেখিয়ে সাধারণ জনগনকে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় অর্থনীতিকে পঙ্গু করার নেপথ্য কার্যক্রম। এ দাবী স্থানীয় বাঙালিদের। তাছাড়া বাজার বয়কটের এ ঘটনা দ্বারা ইউপিডিএফ লক্ষীছড়ির পর সাজেকেও নতুন করে তাদের শক্তির জানান দিল বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

অবশ্য ইউপিডিএফ নেতারা বলছেন অন্য কথা। তারা বলছেন, লক্ষীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমার মুক্তির দাবীতে সরূপ বাজারে আসছেন না স্থানীয় উপজাতিরা। এ ক্ষেত্রে তাদের উপর আঞ্চলিক কোন সংগঠন বা কোন গোষ্ঠির চাঁপের কথা তারা অস্বীকার করেন। তবে বাঙালিদের কাছে বেচা-কেনা বন্দের বিষয় কেউ কোনো কথ বলেননি।

অন্য একটি মিডিয়ায় দেয়া সাক্ষাতে লক্ষীছড়ি বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফোরকান হাওলাদার বলেন, উপজেলা যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ আটকের পর অদৃশ্য একটি শক্তির ইসারায় উপজাতীরা বাজারে সংখ্যায় কম আসছে। এটি পাহাড়ের নতুন কোন ঘটনা নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, উপজাতীয় স্বার্থনীশি চক্রের চলমান ঘটনার অংশ এটি। এ স্বার্থনীশি অপশক্তির কারণে সাধারণ উপজাতীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বাজার বয়কটের নামে অর্ধহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন তারা। তবে নিরাপত্তাবাহিনীর কড়া নজরদারীতে স্থানীয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে তিনি জানান।
খাগড়াছড়ির স্থানীয় সাংবাদিক নুরুল আলম তার অনলাইন মিডিয়ার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন-

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। ২২০ বর্গ কিলো মিটারের লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় পান থেকে চুন খসলেও খবরদারি করে আঞ্চলিক অস্ত্রধারী সংগঠনগুলো।

হাট বাজার, ঠিকাদারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সর্বত্র নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে অসুস্থ প্রতিযোগীতায় সক্রিয় রয়েছে পাহাড়ের অনিবন্ধিত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিবিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় যেন অবৈধ অস্ত্রধারী ইউপিডিএফ’র শাসন ব্যবস্থা চলছে।

পুরো লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পাহাড়ী-বাঙ্গালীদেরকে ভয়ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করে জিম্মি করে রেখেছে পাহাড়ের অনিবন্ধিত আঞ্চলিক সংগঠনটি। কথিত জুম্ম জনগণের অধিকারের আন্দোলনের নেপথ্যে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যাকান্ডের মতো রাষ্ট্রবিরোধী সব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাঝে মাঝে নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তারা নিরহ লোকজনের জানমালের ক্ষতি করে থাকে। ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের ভয়ে অনেকে লক্ষ্মীছড়ি ছেড়ে খাগড়াছড়ি শহরে এসে বসবাস শরু করেছেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা সদর, বর্মাছড়ি ও দুল্যাতলী ইউনিয়নে সক্রিয় রয়েছে পাহাড়ের অনিবন্ধিত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিবিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফ। একক আধিপত্য ধরে রাখতে রাঙামাটি ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির কয়েকটি ইউনিয়নে সশস্ত্র শোডাউনসহ বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয় ইউপিডিএফ। আধিপত্য বিস্তার করতে ইউপিডিএফ’র নেতাকর্মীরা সশস্ত্র অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়ায়।

ইউপিডিএফ মতাদর্শের অনেক জনপ্রতিনিধিও অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করছেন বলে জানান বিশ্বাসযোগ্য কয়েকটি সূত্র। এমন তথ্যেও ভিত্তিতেই গত ১লা জানুয়ারী রাতে গ্রেফতার করা হয় ইউপিডিএফ সমর্থিত লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমাকে। বর্তমানে তিনি খাগড়াছড়ি কারাগারে রয়েছেন।

লক্ষ্মীছড়ি সদর ইউনিয়নে লক্ষ্মী চাকমা, রক্তিম চাকমা ও সুইসোনা চাকমা। বর্মাছড়ি ইউনিয়নে রতন বসু চাকমা, তোরেন চাকমা ও অজয় চাকমা এবং দুল্যাতলীতে আপ্রুশী মার্মা ও রেশমী চাকমা ইউপিডিএফ’র সাংগঠনিক ও সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার সাধারণ জনতা ইউপিডিএফ’র কাছে পরাধীন। বাংলাদেশ সরকারের কোন আইনই এখানে প্রযোজ্য নয়। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা যা বলে তাই শুনতে হয়। তারা যে হারে চাঁদা নির্ধারণ করেন তাই দিতে হয়। যে ভাবে চলতে বলেন সে ভাবে চলতে হয়। নয়তো এলাকা ছাড়াতে অথবা মরতে হয়।

লক্ষ্মীছড়িতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের অসংখ্য স্থায়ী ও অস্থায়ী ক্যাম্প রয়েছে। ঝুমঘর ও টংঘর বানিয়ে সন্ত্রাসীরা সেখানে তাদের ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করছে। অনেক সময় স্থানীয়দের ঘর বাড়ি দখল করে সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়ে সশস্ত্র বৈঠক করে। সন্ধ্যার পর গ্রামগ্রামে সশস্ত্র অবস্থান নেয়। পরিবার ও পরিজনদের কথা চিনতা করে লক্ষ্মীছড়ির অনেকে খাগড়াছড়ি শহর ও মানিকছড়িতে বসবাস শুরু করেছেন। আর যারা আছেন তারা প্রতিনিয়ত শঙ্কার মধ্যে থাকেন।

নিরাপত্তা বাহিনী কিংবা প্রতিপক্ষের সাথে কিছু হলে তার রেশ জনগণের উপর পরে। ঘরবাড়িতে আশ্রয় নিয়ে অত্যাচার, নীপিড়ন-নির্যাতনের পাশাপাশি গৃহপালিত পশুপাখি জোর করে জবাই করে খেয়ে ফেলে। হাটবাজারগামী ও চাকরীজীবীদের বাৎসরিক চাঁদা দিতে হয়। এছাড়া হাটে কোন মালামাল ক্রয় বিক্রী করলেও চাঁদা দিতে হয় সন্ত্রাসীদের।

লক্ষীছড়ির পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে, নাম প্রকাশ করে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো পুলিশ কর্মকর্তাও কথা বলতে সাহস দেখায় না। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ইউপিডিএফ’র যারা নেতৃত্বে রয়েছেন তাদের সকলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাসীরা গহীন অরণ্যে থাকায় তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছেনা। এছাড়া পুলিশের নানান সীমাবদ্ধতাও রয়েছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ইউপিডিএফের একাধিক শীর্ষ নেতার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ব্যর্থ হতে হয়।

ঢাকা থেকে নিয়ন্ত্রীত পার্বত্য চট্টগ্রামের অপর একটি অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেনে বলা হয়েছে-

বিরোধী দলকে দলে পিষে সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দাপিয়ে বেড়ালেও খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে তারা অনেকটা অসহায়। এখানে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ হয় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের কমান্ড ও সন্ত্রাসীদের ইসারায়।

খাগড়াছড়ির দুর্গম উপজেলা লক্ষীছড়ি উপজেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেকাকর্মীরা আঞ্চলিক সংগঠনের সন্ত্রাসীদের ভয়ে কোণঠাসা। ইউপিডিএফ’র অপরাজনৈতিক তৎপরতায় মাথা তুলে দাঁড়াতে সাহস করে না তারা। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের কোনটিতে নেই ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও বিএনপিসহ জাতীয় রাজনৈতিক দলের কোন প্রতিনিধি এ উপজেলায় নেই। আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস করেন না উপজেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারাও।

অভিযোগ রয়েছে, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউপিডিএফ’র সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সমর্থকদের গণসংযোগে বাধা ও অপহরণের হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়া করে। যার প্রেক্ষিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দুই দিন আগে গত বছরে ২১ এপ্রিল ভোরে লক্ষীছড়ি উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
একই বছরের ২৯ নভেম্বর খাগড়াছড়িতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জনসভা থেকে ফেরার পথে লক্ষীছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা নীল বর্ণ চাকমাকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। পরে কীভাবে তিনি ছাড়া পেয়েছেন সেটি সবাই জানেন। জীবনে আর কখনো আওয়ামী লীগ করবেন না এই মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন তিনি।

লক্ষীছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পাজেপ সদস্য রেম্রাচাই চৌধুরী বলেন, লক্ষ্মীছড়িতে কারা কি করছে তা নতুন করে আর বলার কিছু নেই। তিনি অভিযোগ করেন, গত ইউনিয়ন নির্বাচনে ইউপিডিএফ’র সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মাঠে নামতে পারেনি। এক কথায় ইউপিডিএফ’র খবরদারীদের ভয়ে আমরা অতিষ্ঠ।

একইভাবে গত ৪র্থ পর্যায়ের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় তিনিসহ আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে খাগড়াছড়ি সদর থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ইউপিডিএফ’র সন্ত্রাসীরা। পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।

লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বেপারী মুঠোফোনে জানান, ৭-৮দিন ধরে লক্ষীছড়ি বাজারে লোকজনকে আসতে দিচ্ছে না ইউপিডিএফ’র সন্ত্রাসীরা। বাজারে গেলে দেখে নেয়ার হুমকি দমকি দেয়া হচ্ছে। লোকজনকে বাজারে আসা ঠেকাতে বিভিন্ন স্থানে চেক পোষ্ট বসিয়ে তল্লাসী চালাচ্ছে। ফলে কেউ বাজারে আসা নিরাপদ মনে করছে না। যারা বাজারে আসবে তাদের এক কেজি হাঙ্গর শুটকি ও এক কেজি পোলাও চাউলের ভাত খেয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকার হুমকি দিচ্ছে। এটা স্থানীয় অর্থে মৃত্যুর হুমকি।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কংজরী চৌধুরী জানান, ইউপিডিএফ যা করছে তা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছাড়া আর কিছুই না। তিনি সরকারকে দ্রুত বিশেষ অভিযান চালিয়ে অবৈধ অস্ত্রধারীদের নির্মূল করার দাবী জানান।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে ইউপিডিএফ নেতাদের সাথে কথা বলার সহজ উপায় নেই। সাধারণত ইউপিডিএফ বিভিন্ন স্থানে থেকে তাদের নেতাদের একেকটি স্থানে সাময়িকভাবে পোস্টিং করে। পরে আবার নতুন নেতাদের এনে পুরাতন নেতাদের সরিয়ে নেয়। তাদের অরিজিনাল নামের পরিবর্তে সাংগঠনিক নাম দেয়া হয়। তাদের একাধিক মোবাইল নম্বর থাকে। কিন্তু সেগুলো কখনো কখনো খোলা হয়, বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে, খুব দ্রুত পরিবর্তন করা হয়। তবু এসব অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় ইউপিডিএফ নেতা রক্তিম চাকমা ও সচিব চাকমাসহ একাধিক নেতার মুঠোফোনে কল করে পাওয়া যায়নি।

পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান।