বান্দরবানে পাথর উত্তোলন বন্ধে উকিল মকবুল গংদের বিরুদ্ধ্যে মানববন্ধন করে স্মারকলিপি পেশ পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর দরবারে

479

p.......6

বান্দরবান প্রতিনিধি , ৩১ জানুয়ারি ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি :  বান্দরবানের টংকাবতী ইউনিয়নের তিনটি মৌজায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন চলছে অভিযোগ পাড়াবাসিদের। রোববার সকালে পাথর উত্তোলন বন্ধের দাবিতে বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চের সামনে মানববন্ধন পালন করেছে এলাকাবাসিরা।

মানববন্ধনে আসা এলাকাবাসী ও বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বান্দরবান সদর উপজেলার টংকাবতী ইউনিয়নের ৩১০নং টংকাবতী মৌজা, ৩১১নং হরিনঝিরি মৌজা, ৩১২নং টাকের পানছড়ি মৌজায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন চলছে। পাথর উত্তোলনের ফলে তাদের জীবন, জীবিকার উপর প্রভাব ফেলছে। পাথর উত্তোলনে পানির অভাবে হুমকির মুখে পড়েছে তাদের জীবন। পানির অভাবে উচ্ছেদ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে তিন মৌজার প্রায় কয়েকশ মানুষ। তিন মৌজার রুইখাল, টাক খাল, টাকের পানছড়ি ঝিরি, ডেনঝিরি ও টংকাবতী খাল থেকে প্রতিদিন পাথর উত্তোলন চলছে। যার ফলে খাল ও ঝিরিতে পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। আগামী শুষ্ক মৌসুমে পানির শূণ্যতা আরো তিব্র হবে।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী’র কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে মানববন্ধনকারীরা। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, তিন মৌজায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে উকিল মকবুল আহমেদ, মো: কালু মেম্বার, আব্দুর রহিম।

টংকাবতী ইউনিয়নের কাইতং পাড়া কার্বারী (পাড়া প্রধান) বুংতুই ম্রো সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রেরইয়ং ম্রো, মেনরুম ম্রো, বামং মারমা, ইয়ংচুং ম্রো, পায়া মে্রা প্রমুখ। এদিকে টংকাবতী ইউপি চেয়ারম্যান ও ৩১০নং টংকাবতী মৌজার হেডম্যান (মৌজা প্রধান) পূর্ণচন্দ্র ম্রো বলেন, টংকাবতী ইউনিয়নের তিনটি মৌজায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করছে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এটি সত্য কথা এবং কেউ পাথর উত্তোলনে কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি এ গুলো সব অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করছে।

পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান