বিলাইছড়িতে তিনজন হত্যা ও দু’জনকে আহতের ঘটনায় মামলা

184

॥ বিলাইছড়ি প্রতিনিধি ॥

বিলাইছড়ি উপজেলাধীন বড়থলী ইউনিয়নের সাইজাম পাড়া এলাকায় অতর্কিতে সশস্ত্র হামলায় ৩ জন নিহত ও ২ জন আহতের ঘটনার ১২ দিন পর রোববার (৩ জুলাই) বিলাইছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

বিলাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলমগীর মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ধনরাম ত্রিপুরা (১৬) এর পিতা চিতারাং ত্রিপুরা (৬৫) নিজে বাদী হয়ে গুরুতর জখম, হত্যা ও হত্যার চেষ্টার দায়ে কুকি-চিন (কেএনএফ) এর ২০/২৫ জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। যাহার মামলা নং- ১, ধারা নং- ১৪৩, ৪৪৭, ৪৪৮, ৩০৭, ৩২৬, ৩০২ ও ৩৪, তারিখঃ ০৩/০৭/২০২২ খ্রীঃ। তিনি আরও বলেন, বাদীর বক্তব্য অনুযায়ী ঘটনার দিন নতুন সংগঠন কুকি-চিন (কেএনএফ) এর ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা লোক সশস্ত্র অবস্থায় পাড়ায় ধুকে অতর্কিতে গুলি করলে ঘটনাস্থলে ৩ জন নিহত ও ২ জন শিশু আহত হয়।

প্রসঙ্গত, ২১ জুন (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা আনুমানিক ৬:০০ টার দিকে রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সাইজাম পাড়ায় ডুকে অতর্কিতে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে একই পরিবারের ২ জনসহ ৩ নিরীহ ত্রিপুরা গ্রামবাসীকে হত্যা এবং ২ শিশুকে গুরুতর আহত করা হয়। আহতরা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

হামলায় নিহত গ্রামবাসীরা হলেন-১। বিচাই চন্দ্র ত্রিপুরা (৫২), পিতা- বাদলা ত্রিপুরা; ২। সুভাষ চন্দ্র ত্রিপুরা (২৩), পিতা- বিচাই চন্দ্র ত্রিপুরা; এবং ৩। ধনরাম ত্রিপুরা (১৬), পীং-সিতারাম ত্রিপুরা। অপরদিকে আহত শিশুরা হলো- ১। অনন্ত ত্রিপুরা (৪), পিতা- নিহত সুভাষ চন্দ্র ত্রিপুরা ও ২। সুমনা ত্রিপুরা (১ বছর ৬ মাস), পিতা- সুভাষ চন্দ্র ত্রিপুরা।

এদিকে ঘটনার পরপরই কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ এর একটি ফেসবুক পেইজে লিখিত স্ট্যাটাসেও এই হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করা হয়েছে। তবে তারা নিহতদের জেএসএস এর তথাকথিত জেএলএ বাহিনীর সদস্য বলে দাবি করেন। এবং এই হত্যাকান্ডের কাজটিকে তারা তাদের কমান্ডো হেডহান্টার টিম (মুন্ডুশিকারী দল) এর সফল অপারেশন বলে উল্লেখ করেছেন।