‘বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২১’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

374

॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥

বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আজ সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২১’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য “ট্যুটিজম ফর ইনক্লুসিভ গ্রোথ” বা ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন। রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তথ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রষ্ট্রপতি বলেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্পের কর্মকান্ডে সর্বজনীন অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করবে বলে আমি মনে করি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, পরিকল্পিত, সুনিয়ন্ত্রিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন একটি দেশের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শ্রমঘন পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি এ শিল্পে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা কর্তৃক ঘোষিত এবারের প্রতিপাদ্যে পর্যটনের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে যা টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনকে ত্বরান্বিত করবে।

‘বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।
অপর এক বাণীতে পর্যটন শিল্প বর্তমান বিশ্বে শ্রমঘন এবং সর্ববৃহৎ শিল্প হিসেবে স্বীকৃত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নসহ দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য পর্যটনের গুরুত্ব অবশ্যম্ভাবী।

প্রধানমন্ত্রী আজ ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২১’ পালন উপলক্ষে রোববার দেয়া এক বাণীতে একথা বলেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশে ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২১’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবছর বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কৃষ্টি-ঐতিহ্য আর অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ। এখানে রয়েছে অসংখ্য নদী নালা, প্রতœতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় স্থান, পাহাড়, বন, জলপ্রপাত, চা বাগান এবং বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন। বিশ্বের বৃহত্তম অবারিত বালুকাময় সমুদ্র সৈকতটি বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থিত। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রয়েছে বিস্তীর্ণ হাওড়, চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড় এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবন পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। সবুজে ঘেরা গ্রামীণ নয়নাভিরাম সৌন্দর্যও ছুটির দিনে পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ হতে পারে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রে এই শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আবহমান গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রেখে যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দায়িত্বশীল পর্যটন কার্যক্রম পরিচালনা করতে এবং এর সুফল যাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ভোগ করতে পারে সেলক্ষ্যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, সরকারের এসব পরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়ন এবং জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে সবাই নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন। টেলিভিশন, বেতার এবং ডিজিটাল মাধ্যমে পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে দেশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি তিনি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের স্বতস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী সবাইকে একসঙ্গে অপার সম্ভাবনাময় এই পর্যটন শিল্পে অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সংশি¬ষ্ট সেবাখাতসমূহে দক্ষ জনবল তৈরি করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার আহবান জানান। তিনি ‘বিশ্ব পর্যটন দিবসএর সাফল্য কামনা করেন।