খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি- ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার সিন্দুকছড়ি এলাকার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করে জোর পূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে এক সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সেনা সদস্য মো. কামরুল ইসলাম একই এলাকার আলম ডাক্তারের ছেলে। সে বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরীরত রয়েছে বলে জানা গেছে। ১৮ ফেব্রুয়ারী অভিযুক্ত সেনা সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, তার পিতা আলম ডাক্তার ও বড় ভাই আবু সুফিয়ানের নিকট মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এক উকিল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে বলা হয়, মো. কামরুল ইসলাম বিগত ৪ বছর ধরে কিশোরী আয়েশার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে অবৈধ ভাবে শারীরিক মেলামেলা করে।
পরে বিয়ে করার জন্য ৩ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে যৌতুকের টাকা দিতে অনিহা জানালে বিয়ে না করে উল্টো ওই পরিবারকে মিথ্যে মামলার হুমকি প্রদর্শন করে কামরুল ইসলাম। কিশোরী নিজে অভিযোগ করে বলে, কামরুল আমাকে বিয়ের কথা বলে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক করে। বিষয়টি তার পরিবারে জাননো হলে তার পিতা আলম ডাক্তার কোরআন শরীফ শপথ করে আমার আর কামরুলের ৪ হাত এক করে দেয়ার কথা বলেন।
এ কথার উপর ৬ মাস পার হলে তার পরিবার বিষয়টি বর্তমানে অস্বীকার করেন। কামরুলও এখন বিয়ে করতে অস্বিকৃতি জানাচ্ছে। কামরুল তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবো বলে হুশিয়ার করে দিয়েছে। গুইমারা থানার এসআই মো. মশিউর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ পাওয়া দেখে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করা যাবে।
পোস্ট করেনন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান