বৈসাবী ও নববর্ষের আনন্দে এখন মাতোয়ারা পার্বত্য খাগড়াছড়ি

336

॥ আল-মামুন ॥

বৈসাবী ও নববর্ষের আনন্দে এখন মাতোয়ারা পার্বত্য খাগড়াছড়ি। বৈসু, বিঝু,সাংগ্রাইসহ বাঙালির বাংলা নববর্ষ বরণে ঐতিহ্যবাহী নানা রঙের পোশাকে আনন্দে আত্মহারা পাহাড়ি-বাঙ্গালীরা। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল ২০২২) সকালে খাগড়াছড়িতে জেলা পরিষদের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য বৈসাবী ও নববর্ষের র‌্যালী করে।

ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা পরিষদ প্রাঙ্গনে শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা ও রঙিন বেলুন উঠিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে র‌্যালীর উদ্বোধন করে। পরে চাকমা,মারমা,ত্রিপুরাসহ সকল সম্প্রদায়ের উৎসব মুখোর পরিবেশে র‌্যালীতে অংশ নেন।

র‌্যালীটি পরিষদ থেকে শুরু হয়ে জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হলে গিয়ে শেষ হয়। এতে বর্ণিল পোশাকে ঐতিহ্যকে ধারণসহ নিজ নিজ সংস্কৃতি প্রকাশে উপজাতি নৃগোষ্ঠিগুলো নেচে-গেয়ে উৎসবে মেতে উঠে।

এতে এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, এই উৎসব আমাদের সবার। সকল সম্প্রদায়ের মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টির মধ্য পাহাড়ে উৎসবে মুখোরিত হয়ে উঠবে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। সকলে মিলেমিশে শান্তিপূর্ণ অবস্থান সৃষ্টিসহ সম্প্রীতির খাগড়াছড়ি গড়ে তোলা আহ্বান জানান তিনি।

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঞার স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এতে বক্তব্য রাখেন,খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু,খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ^াস,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ,খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের প্রতিনিধি সদর জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল সাইফুল ইসলাম সুমন,পিএসসি।

এ সময় সংরক্ষিত আসনের এমপি বাসন্তী চাকমা,খাগড়াছড়ি ডিজিএফআই’এর ডেট কমান্ডার কর্ণেল সরদার ইসতিয়াক আহম্মেদ,খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার (জিটুআই) মেজর মো: জাহিদ হাসান,খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো: শানে আলম,খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ,জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলামং চৌধুরী,সদস্য আশুতোষ চাকমা,এমএ জব্বার,পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল,খোকনেশ^র ত্রিপুরা, শুভ মঙ্গল চাকমা,নিলোৎপল খীসা,শাহিনা আক্তার,শতরূপা চাকমা,সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য জুয়েল চাকমাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা এতে অংশ নেন।

এর আগে সকালে চাকমা সম্প্রদায়ের সর্ব বৃহত সামাজিক অনুষ্ঠান বিঝুর প্রথম দিনে “ফুল বিঝু”র মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিঝুর আনুষ্ঠানিকতা। সকালে চেঙ্গী নদীতে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশ্যে প্রণাম জানিয়ে চাকমা সম্প্রদায়ের এই বিঝুর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এতে চেঙ্গী,নদীসহ পার্বত্য জেলায় বিঝু’র উৎসবে মেতে উঠে চাকমারা। একই সাথে বর্ণিল পোশাকে ছোট-বড় থেকে শুরু করে সব বয়সীরা নদীপাড়ে গঙ্গা দেবীবে প্রণাম করতে ভীড় করেন। ফলে উৎসবে জমে উঠে পাহাড়।