শনিবার চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার মানুষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মূল ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শান্তিপূর্ণ দেশ গঠনে সবার সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। এখানে সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদের কোনো স্থান হবে না। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে তিনি আহবান জানান।
তিনি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় মসজিদের ইমাম, শিক্ষক, অভিভাবক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা সংস্থাসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “সকলকে সম্মিলিতভাবে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে, জঙ্গি ও সন্ত্রাসের পথ কখনো শান্তি ও নিরাপদের পথ হতে পাওে না।
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রান কখনও মানুষের কল্যাণ সাধন করতে পারে না। আমরা কল্যাণের পথে থাকতে চাই। জনগণের সার্বিক উন্নয়নই আমাদেও অন্যতম লক্ষ্য। তাই তিনি চট্টগ্রাম বিভাগের মানুষদের উদ্দেশ্যে বলেন, আসুন সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়েদেশকে এগিয়ে নিতে দেশের উন্নয়নে কাজ করি।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, ছেলে মেয়েরা কার সঙ্গে মেশে, কোথায় যায় তার খোঁজ রাখুন। তারা যেন সঠিক পথে থাকে। “ছেলে মেয়েরা যেন মন খুলে বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারে সেই পরিবেশ তৈরি করুন।”
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোনো ছেলে পেলে অনুপস্থিত থাকলে তারা কী করছে, তারা কোনো সন্ত্রাসীর সঙ্গে মিশছে কিনা, মাদকে আসক্ত হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর দিন। সেখান থেকে ছেলে-মেয়েদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করুন।
তিনি বক্তব্যের এক পর্যায়ে বিএনপির বিভিন্ন কর্মকা-ের সমালোচনা করে বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে ফোন করে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছিলাম, আসেন নির্বাচন করি। খালেদা জিয়া নির্বাচনে আসলেন না। নির্বাচন বর্জন করলেন। উনার দলীয় ভূল সিদ্ধান্তের দায় কেন জনগণ নিবে? কেন সাধারণ জনগণকে আগুনে পুড়ে মরতে হবে। বিএনপির আন্দোলন মানে মানুষ হত্যা মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে, ২০১৫ সালে সরকার উৎখাতের নামে বিএনপি টানা ৯২ দিন নৈরাজ্য চালিয়েছে। মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, বাস, ট্রেন অগ্নিসংযোগ করেছে। নিরীহ গরুও রেহাই পায়নি তাদের হাত থেকে। তিনি বলেন, এ রকম বীভৎস ঘটনা ৭১ সালে হানাদার বাহিনী করেছে, আর দেখেছি খালেদা জিয়াকে করতে। মা দেখে তার চোখের সামনে স্বামী, সন্তান পুড়ে মরছে, বাবার চোখের সামনে ছেলে পুড়ে মরেছে। খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ৯২ দিন গুলশান অফিসে বসে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে আর বিরিয়ানির প্যাকেট খেয়েছে।