॥ আলমগীর মানিক ॥
করোনাকালীন পরিস্থিতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভূয়া কাগজপত্র বানিয়ে পাহাড়ের বনজ সম্পদ পাচার করছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্র। এখানকার স্থানীয় পাহাড়িদের নামে টিপি ইস্যু করে সেই টিপি’র হুবুহু নকল কপির মাধ্যমে প্রতিদিনই পাচার করছে হাজারো ঘনফুট মূল্যবান বনজ গাছ।
এমনিভাবে পাচারকালে রাঙামাটির মানিকছড়িতে গাছভর্তি একটি ট্রাক(ভোলা আটক করেছে বনবিভাগসহ যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
সোমবার সকালে সেই ট্রাকটি রাঙামাটির বনরূপাস্থ বনবিভাগের অফিসে এনে ১০৬ টুকরো কর্তনকৃত গোল কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কর্তব্যরত ফরেষ্টার মোঃ আমজাদ হোসেন। তিনি জানান আটককৃত কাঠভর্তি ট্রাক থেকে আমরা সর্বমোট ৩৪৭ ঘনফুট কড়ই ও গামারী প্রজাতির গোল কাঠ উদ্ধার করেছি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা।
বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ জানায়, জুম নিয়ন্ত্রণ বিভাগ থেকে সংগৃহিত একটি টিপির আলোকে গোল কাঠ ভর্তি একটি ট্রাক রাঙামাটি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরেষ্টার আমজাদ, এফজি মাহাবুব আলম ও আওলাদ হোসেন মানিকছড়ি চেকপোষ্টে ট্রাকটিকে চেক করার সময় কাগজপত্রে গড়মিল পাওয়ায় সেটিকে আটক করে প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। এসময় উক্ত টিপি’র বাহককে উপযুক্ত কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হলেও তারা কেউই আসেনি বলে জানিয়েছেন ফরেষ্টার আমজাদ হোসেন।
এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জব্দকৃত কাঠগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ। রাঙামাটি শহরের জনৈক নীল কান্তি চাকমা ও বীরেন্দ্র চাকমার নামে বনবিভাগের ঝুম নিয়ন্ত্রণ বিভাগ কর্তৃপক্ষ উক্ত দুইটি টিপি ইস্যু করলেও উক্ত কাগজের সাথে ট্রাক ভর্তি কাঠের কোনো মিল নেই বলে জানিয়েছে বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ।
জানাগেছে,বনবিভাগের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে পাহাড়ের বনাঞ্চল থেকে অবৈধভাবে সংগৃহিত মূল্যবান গাছ গোল কাঠ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে একটি সিন্ডিকেট চক্র।