স্টাফ রিপোর্টার, ১১ জানুয়ারি ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : ২০১৫ সাল ১০ জানুয়ারি রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ উদ্বোধনের সময় সমবেত ছাত্র ও যুব সমাজের সাথে মিছিলে সমিল হন মনির হোসেন। কিন্তু মেডিকেল কলেজ বিরোধীদের আঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তবে এই হত্যার কোনো বিচার হয়নি। পরিবার জানায়, মনিরের বাবাকেও ২০০৩ সালে ১৩ অক্টোবর সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করে। তার মা কমলা বেগম কেঁদে কেঁদে বলেন, হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা হলেও তার কোন তদন্ত হয়নি। সরকারের কাছে আমি আমার সন্তান ও স্বামী হত্যার বিচার দাবি করছি।
রোববার মনির হত্যাকান্ড ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার এক বছর পূর্তির দিন রাঙামাটিতে আয়োজিত এক এক শোক সভায় এই দাবি জানান তিনি। সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের দাবি মনিরের নামে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজে একটি হলরুম করা হউক। তাছাড়া মনিরের কবরটি পাকা করা এবং তার হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার চাই আমরা। রাঙামাটি নানিয়ারচর উপজেলায় বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সৈনিক মনির হোসেনের ১ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে রোববার বিকেলে বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি সংসদ কার্যালয়ে এই মতবিনিময় ও শোকসভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি সংসদের সভাপতি এডভোকেট মামুন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব, স্থানীয় নারী কাউন্সিলর বিলকিস বেগম, বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম, নিহত মনির মা কমলা বেগম এবং ভাই আল আমিন।
বক্তারা প্রশাসনের কাছে মনিরের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য, মনিরের ভাইয়ের চাকরি প্রদান, মনিরের কবরটি পাকা করা এবং রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের একটি হলরুম মনির হোসেনের নামে নামকরণের জন্য প্রশাসনের মনযোগ আকর্ষণ করেন। তারা আরো বলেন, এক বছর হয়ে গেলেও প্রশাসনের দেওয়া প্রতিশ্রুতির কোনটি এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি।
পোস্ট- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান