॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
‘মাটির ক্ষয়রোধে আমাদে সচেতন হওয়ার এখনি সময়। আগামী প্রজন্ম যদি মাটির ক্ষয়রোধে আমাদের আরো সজাগ না হয় তবে বিপর্যয় অনিবার্য’ বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। ডিসি বলেন, মাটির ক্ষতি করে ইচ্ছেমত চাষাবাদ এবং পাহাড় কেটে বসতবাড়ি বা বাগান করা যাবে না। মাটির ক্ষয়রোধে ব্যাপক পরিকল্পনার প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ডিসি উল্লেখ করেন, আমরা প্রকৃতির সাথে যেমন আচরণ করবো প্রকৃতি তা নিরবে ফিরিয়ে দিবে। রাঙামাটিতে ২০১৭ সালের ভূমিধস এর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, সেই ধসে অনেকেই মারা গেছে এবং বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যা ছিল মাটির উপর অত্যাচারের অবশ্রম্ভাবী কুফল। তাই মাটি ক্ষয়রোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে জেলা মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট রাঙামাটি জেলা কার্যালয়ের এমন মন্তব্য করেন।
সভায় বক্তাব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরিন সুলতানা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙামাটি কার্যালয়ের উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ সাহা।
সভায় মৃত্তিকা সম্পদের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রতিবেদন উত্থাপন করেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট রাঙামাটি কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ঊষালয় চাকমা।
জেলাপ্র্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আরো বলেন, মাটিতে যদি জৈব সার ব্যবহার করা যায় তাহলে মাটির তেমন ক্ষতি হবে না। মাটির ক্ষয়রোধ এড়াতে আমাদের রাসায়নিক সার এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি ফরেস্ট বিভাগও মাটির সাথে সম্পর্ক রয়েছে। তাদেরও সেগুন গাছ অনেক ক্ষতিকর। এইজন্য তিনি মৃত্তিকা সম্পদ কর্তৃপক্ষকে এব্যাপারে সজাগ করতে অবহিত করেন।