যমচুগ বনাশ্রম ভাবনাকেন্দ্রে ৩৯তম প্রবারণা পুর্ণিমা অনুষ্ঠিত

155

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

রাঙামাটির প্রসিদ্ধ বৌদ্ধ বিহার যমচুগ বনাশ্রম ভাবনাকেন্দ্রে ৩৯তম প্রবারণা পুর্ণিমা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে বিহারের দেশনালয়ে পঞ্চশীল গ্রহণের পর বুদ্ধমুর্তি দান, সংঘদান অষ্ট পরিষ্কার দান উৎসর্গ করা হয়। দানোৎসর্গ শেষে প্রবারণা পুরণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন করা হয়। প্রবারণা পুরণের সময় বিগত প্রবারণা হতে এবারের প্রবারণা পর্যন্ত নিজেদের জ্ঞাতসারে অজ্ঞাতসারে ও প্রমাদবশতঃ যদি কোন ভুল ত্রুটি দুষ্কর্ম, অবহেলা অবজ্ঞা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য প্রভৃতি অপরাধ একে অপরের কাছে ক্ষমা চান পুণ্যানুষ্ঠানে সমবেত নারী পুরুষ।

পাশাপাশি বুদ্ধ ধর্ম সংঘ, মাতাপিতা ও গুরুজনদের প্রতি অবহেলা অবজ্ঞা ও অমর্যাদা হয়ে থাকলে তারাও যেন অনুকম্পা পুর্বক যেন মার্জনা করা হয় সকলে প্রার্থনা করেন।

এর আগে পুণ্যার্থীরা প্রবারণা পুর্ণিমা উপলক্ষে বুদ্ধপুজা দেন। অনুষ্ঠানে সদ্ধর্ম দেশনা দেন যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ কল্যাণ জ্েযাতি মহাস্থবির। বক্তব্য রাখেন যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি বিহারী চাকমা, বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রূপক চাকমা। অনুষ্ঠানে যমচুগ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, দাতা সদস্যসহ বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থী অংশ নেন। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রবারণা পুর্ণিমার তিথিতে নিজেদের কৃত ভুল ভ্রান্তি অপরাধ ক্ষমা চেয়ে পরিশুদ্ধ হন।

অনুষ্ঠান শেষে বিহার পরিচালনা কমিটির উদ্েযাগে আসন্ন কঠিন চীবরদান উদযাপনের লক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সভাপতি পুর্ণচক্র চাকমা এতে সভাপতিত্ব করেন। আগামী ৬ ও ৭ নভেম্বর যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্র ৩৯ তম দানোত্তম কঠিন চীবরদান উদযাপন করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।