যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রে ৩৭তম কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত

389

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
সাধু সাধু সাধু ধ্বনিতে হাজারো পুণ্যার্থীদের ভক্তি ও শ্রদ্ধায় রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়নের যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩৭ তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান । গৌতম বুদ্ধের প্রধান সেবিকা মহাপুণ্যবতী বিশাখা কর্তৃক প্রবর্তিত কঠিন চীবর বুনন ও ধর্মীয় নানা আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সোমবার শুরু হয়ে মঙ্গরবার বিকেলে দুইদিন ব্যাপী কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্য বুদ্ধপুজা, বুদ্ধমূর্তিদান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, কঠিন চীবর দান, পঞ্চশীল প্রার্থনা, সুত্রপাঠ, ধর্মীয় দেশনা, কল্পতরু প্রদক্ষিণ ও ফানুস বাত্তি উৎসর্গসহ উল্লেখযোগ্য।

কঠিন চীবর দানোৎসবে দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো পুণ্যার্থী অংশ নেন। পুণ্যার্থীদের পদচারণায় মূখর হয়ে উঠে বিহার প্রাঙ্গণ।

দুপুরে কল্পতরু ও কঠিন চীবরকে পুরো বিহার এলাকা প্রদক্ষিণ করে আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয়। সন্ধ্যায় জগতের সকল প্রাণীর হিতসুখ ও মঙ্গল কামনায় ফানুস বাত্তি প্রজ্জ্বলন করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে প্রথমে বৌদ্ধরত্ন উপাধি প্রাপ্ত ও বনভান্তের প্রধাণশিষ্য ভদন্ত শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবিরকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন ভক্তরা। পরে উদ্বোধনী ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে পঞ্চশীল পাঠ করেন সুপ্রিয়া চাকমা ও প্রতিচার্য্য চাকমা। বিশেষ প্রার্থনা পাঠ করেন চুক্তি চাকমা ও অর্পণা চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি পূর্ণ চক্র চাকমা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রূপক চাকমা।

ধর্মীয় সভায় পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে ধর্ম দেশনা দেন, বৌদ্ধরত্ন উপাধিপ্রাপ্ত ও বনভান্তের প্রধাণশিষ্য ভদন্ত শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির। অন্যান্য ভিক্ষুদের মধ্য ধর্মদেশনা দেন, রাজবন বিহারের সিনিয়র ভিক্ষু ভদন্ত সত্যপ্রেম মহাস্থবির, আলুটিলা আন্তর্জাতিক বনভাবনা কেন্দ্রের বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ করুণাদীপ স্থবির, সহ অন্যান্য প্রমূখ ভিক্ষু সংঘ।

এসময় অন্যান্য সিনিয়র ভিক্ষুর মধ্য উপস্থিত ছিলেন, দীঘিনালা বনবিহার আবাসিক সিনিয়র ভিক্ষু ভদন্ত শ্রীমৎ শুভবর্ধণ মহাস্থবির, ধুতাঙ্গটিলা বনবিহার অধ্যক্ষ দেবধাম্মা মহাস্থবির, দীঘিনালা বনবিহার অধ্যক্ষ প্রিয়ানন্দ মহাস্থবির, পরীচুগ বনবিহার অধক্ষ্য ভদন্ত শ্রদ্ধারতœ স্থবিরসহ যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রের বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ কল্যাণজ্যোতি মহাস্থবির।