রাঙামাটিতে অসংক্রামিত রোগ প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

430

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাঙামাটিতে অসংক্রামিত রোগ প্রতিরোধে মতবিনিময়  ও এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনি ও রোববার রাঙামাটি জেলা সদর, সদর উপজেলা পর্যায়ে ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পৃথক এই তিনটি সভায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে জানানো হয় অসংক্রামিত রোগ আপাত দৃষ্টিতে ক্ষতিকর না হলেও এই রোগ পুষে রাখার কারণে জাতির বিভিন্নি ইউনিট দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই অসংক্রামিত রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে দেশব্যপী এ্ ধরণের এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভার সঞ্চালক জানান, অসংক্রামিত রোগ হলো ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মতো সমস্যাগুলো।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইফষ্টাইল, হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো এর আওতায় “কান্ট্রিওয়াইড এডভোকেসি ওয়ার্কশপ অন হেলদি লাইফষ্টাইল ফোকাসিং হেলথ ডায়েট, অবসিটি, ফিজিক্যাল ইনএক্টিভিটি, এক্সসেসিভ সল্ট এ্যান্ড সুগার ফর নন কমিনিকিউবল ডিজিস কন্ট্রোল শীর্ষক সেবা প্যাকেজের ( প্যাকেজ নং এল এ্যান্ড এইচইপি এস- ২০/২০১৯-২০২০) আওতায় আজমীর ইন্টারন্যাশনাল নামক বেসরকারি কনসাল্টিং ফার্ম এর সহযোগিতায় রাঙামাটি জেলা পর্যায়ে ১টি, উপজেলা পর্যায়ে সদরে ১টি ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কুতুবছড়িতে ১টি সহ মোট ৩টি এডভোকেসি ওয়ার্কসপ সম্পন্ন করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন অফিসে, দুপুরে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে ও রোববার সকাল ১১টায় কুতুবছড়ি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উক্ত এডভোকেসি ওয়ার্কসপসমূহ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পন কর্মকর্তা ডাঃ বিনোদ শেখর চাকমা,  সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার সুপতি রঞ্জন চাকমা ও আজমীর ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক শাহিদা আক্তার। উক্ত এডভোকেসি ওয়ার্কসপে শিক্ষক, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

নন কমিনিকিউবল ডিজিস কন্ট্রোল ওয়ার্কশপে আলোচকরা- ১. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। ২. নিরাপদ ও ভেজালমুক্ত খাদ্য গ্রহণ। ৩. খাদ্য কর্মীদের ব্যাক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও হাইজিন। ৪. স্বাস্থ্যকর সুষম খাদ্য গ্রহণ। ৫. স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ। ৬. শারীরিক পরিশ্রম। ৭. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা। ৮. সকালে সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন-ডি গ্রহণ করা। ৯. পরিমিত বিশ্রাম। ১০. অত্যাধিক সাদা চাউলের ভাত, অত্যাধিক চিনি, লবন পরিহার করা, বাজারের বতল জাত জুস, সফট ড্রিংকস পরিহার করে তাজা ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা, কলা ও তরমুজ ডায়াবেটিস রোগীদের পরিহার করা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।