॥ সোহরাওয়ার্দি সাব্বির ॥
রাঙামাটিতে আর্ন্তজাতিক রেডি গ্রাফার দিবস উদযাপন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তথ্য প্রযুক্তি প্রসারে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তিতে আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রোববার (৮ নভেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল মিয়া।
এছাড়াও রাঙামাটি এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ, ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোঃ নাছির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বেলাল হোসেন, ধর্ম বিষয়ক পরিচালক হাজ্বী আবুল কালাম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদস্য নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগ্রত করতে রেডি গ্রাফারের ভূমিকা অপরিসীম। ১৯৭১ সালে এই রেডি গ্রাফারের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর এর মাধ্যমে সারা দেশের মানুষ জেনে ছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের নাম।
পরবর্তীতে রেডি গ্রাফার থেকে রেডিও গ্রাফার হিসেবে শব্দটি রুপান্তিরিত করা হয়। আর বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার রেডি গ্রাফার সর্ম্পকে জানাতে ও তার প্রসার ঘটাতে কাজ শুরু করেছে। তাই সবাই মিলে রেডি গ্রাফারকে মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে এক হয়ে কাজ করার আহবান জানান বক্তারা।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, রাঙ্গামাটির দূর্গম এলাকার মানুষ এখনো রেডিও এর উপর নির্ভশীল। দেশে দূর্যোগ, কৃষিসহ সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা জানতে রেডিও কোন বিকল্প নেই। কারণ পার্বত্যাঞ্চলে অনেক দূর্গম এলাকা আছে যেখানে এখনো বিদ্যুতের আলো পৌঁছায়নি। তাই দূর্গম এলাকার মানুষ দেশের সব খবরা খবর পেয়ে থাকেন রেডিও এর মাধ্যমে। কিন্তু পার্বত্য এলাকায় এখনো পূণাঙ্গ রেডিও ষ্টেশন চালু করা হয় নাই। তাই সরকারকে পার্বত্য জেলায় একটি পূর্ণাঙ্গ রেডিও ষ্টেশন চালুর দাবী জানান।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য এলাকায় রেডিও মাধ্যমে দেশের আনাচে কানাচে সব কিছু জানতে পারছে তেমনী পার্বত্য এলাকার মানুষের সুখ, দুঃখ দূর্দশার সব খবর সেই সময় থেকে মানুষের মাঝে পৌছে দিয়েছেন দৈনিক গিরিদর্পণ ও সাপ্তাহিক বনভূমির প্রকাশক ও সম্পাদক চারণ সাংবাদিক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ। তিনি বাংলাদেশ বেতারের শুরু থেকে পাহাড়ের সব খবরা খবর পৌছে দিয়েছেন গ্রাম থেকে শহরে।
তিনিই হচ্ছেন পাহাড়ের সাংবাদিকতার বাতি ঘর। তার হাত ধরেই পাহাড়ে সাংবাদিকদের সৃষ্টি। তাই আমরা চাই সাংবাদিকতার পথিকৃত ও চারণ সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পণ ও সাপ্তাহিক বনভূমির প্রকাশক ও সম্পাদক চারণ সাংবাদিক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদকে ২১ পদক ও স্বাধীনতার পদক প্রদান করা হোক।
যাতে করে তার কর্মময় সারা জীবনের প্রাপ্তি স্মৃতি হয়ে থাকে। তাই সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ পাহাড়ের সাংবাদিকতার পথিকৃত ও চারণ সাংবাদিক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদকে তার প্রাপ্তি প্রদান করা হয়। পরে মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে মানবাধিকার কর্মীদের শপথ গ্রহন ও পরিচয়পত্র বিতরন করা হয়।