রাঙামাটিতে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব পালনে প্রশাসনের প্রস্তুতিসভা

111

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব আসন্ন দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুচারুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোশাররফ হোসেন খান। সভায় পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন, জেলা পরিষদ সদস্য বিপুল ত্রিপুরা সহ আইনশৃংখলা বাহিনী, পৌরসভার প্রতিনিধি, পুজা উদযাপন পরিষদ ও বিভিন্ন পুজা মন্ডপ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে জেলাপ্রশাসক মোশারফ হোসেন খান বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে ঘটতে না পারে, সেক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা দরকার।

সভায় পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

সভায় জানানো হয়, এবার রাঙামাটি সদরে ১৪ টিসহ জেলায় মোট ৪৩টি পূজামন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। সকল মন্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের সিদ্ধান্ত ছাড়াও ছাড়া নির্বিঘেœ সকল মন্ডপে দর্শনার্থীদের যাতায়াতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা দিদারুল আলম, জেলা পরিষদের সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হকসহ পুজা উদযাপন পরিষদ ও বিভিন্ন মন্দির পরিচালনা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া আনসার ও বিদ্যুৎ বিভাগসহ জেলা পর্যায়ের সকল সরকারি দপ্তরের কমকর্তা, রাঙামাটির ১০ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন।

পুজার সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন পরিষদকে নিজ উদ্যোগে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে বলা হয়। পূজামণ্ডপে দুষ্কৃতিকারীর হামলা, ভাঙচুর প্রতিরোধে সকলকে সজাগ থাকার পাশাপাশি প্রতিটি মন্দির এলাকায় বসবাসরত সব সম্প্রদায়ের নেতাদের সমন্বয়ে সম্প্রতি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা অ্যাডজুট্যান্ট ফয়জুল বারী বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রতিটি বড় পূজামণ্ডপে ৮ জন, মাঝারি পূজামণ্ডপে ৬ জন, ছোট পূজামণ্ডপে ৪ জন আনসার সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।