রাঙামাটির প্রবীণ সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে’র নামে ফেসবুক ফেইক আইডি: থানায় জিডি

300

স্টাফ রিপোর্ট- ৫ জুলাই ২০১৭, দৈনিক রাঙামাটি:  তথ্য প্রযুক্তির বিকৃত ব্যবহারের খপ্পরে পড়ে চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন রাঙামাটি জেলার প্রবীণ সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সুনীল কান্তি দে। রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক নিজের ইমেজ রক্ষায় অবশেষে থানায় জিডি করেছেন। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগীতা কামনা করে বলেছেন, তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে আমাদের প্রশাসনিক কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি যেমন জরুরী, তেমনি যারা এ সব অপকর্মের সাথে জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে সচেতনতাও জরুরী। তিনি বলেন, প্রযুক্তিকে অপব্যবহার করে যারা সমাজকে কলুষিত করা এবং নিরীহ মানুষকে হয়রাণী করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করা না গেলে এই প্রবণতা বাড়তেই থাকবে।

সুনীল কান্তি দে জানান, কে বা কারা তার নাম এবং ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি আইডি চালাচ্ছে। লোকজন এই ফেইক আইডিটিকে সুনীল কান্তি দে মনে করে লাইক কমেন্টেও করছে। কিন্তু তিনি বিষয়টি সম্পর্কে আদৌ জানতেন না। সম্প্রতি তার শুভাকাঙ্খীরা এ বিষয়ে সুনীল কান্তি দে’র দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হন। সুনীল কান্তি দে জানান, প্রথমে তিনি ফেইক (ভূয়া) আইডির বিষয়টিকে অতটা গুরুত্ব দেননি, কারণ তার মনে হয়েছিল কেউ দুষ্টামী করে এমন করেছে, সময়ে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ক্রমশ এই আইডি (সুনীল দে) ব্যবহার করে এমন কিছু স্ট্যাটাস ও কমেন্ট পোস্ট করা হচ্ছে, যা পড়ে মানুষ বিভ্রান্ত হওয়া ছাড়াও তাঁর সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করতে পারে মর্মে ওইসব পোস্টে যথেষ্ট উপাদান রয়েছে।

শনিবার রাতেই তিনি রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করেন (যার নং ৩৩২, তাং ০৮/০৭/২০১৭ খ্রিঃ)। জিডিতে তিনি এ বিষয়ে জড়িত দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার আবেদন জানিয়ে বলেন, বিভ্রান্তি নিরসনে এটা অত্যন্ত জরুরী। জিডি করা ছাড়াও সুনীল কান্তি দে তার অশুদ্ধ নাম ‘সুনীল দে’ ব্যবহার করে পরিচালিত আইডিটি সম্পর্কে সকলকে সতর্ক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন এই আইইডির কোনো তৎপরতার জন্যই তিনি দায়ী নন।

পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান ।