॥ নেয়ামত উল্লাহ ॥
রাঙামাটি জেলায় প্রথম ¯œাতক (ফাজিল) পর্যায়ের মাদ্রাসা হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি (বেতন তালিকায় অন্তর্ভূক্তি) পেলো বনরূপায় অবস্থিত আল আমিন ফাজিল ডিগ্রী মডেল মাদ্রাসা। রাঙামাটি জেলায় এটিই প্রথম মাদ্রাসা যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফাজিল পর্যায়ের এমপিওভূক্ত হলো। পার্বত্য এলাকায় যথেষ্ঠ সংখ্যক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী থাকলেও আলীম পাশ করার পর এতদিন শিক্ষার্থীদের চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য জেলায় গিয়ে উচ্চ শিক্ষা নিতে হতো। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনির ঘোষণার মধ্য দিয়ে পার্বত্যবাসীর একটি দীর্ঘদিনের কাক্সক্ষীত দাবি পুরন হলো।
গত ৬ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি এক ঘোষণায় সারাদেশে ০৬টি মাদরাসাকে ফাজিল পর্যায়ে এমপিও ভুক্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুযোগ পায় রাঙামাটির আল আমিন মডেল মাদ্রাসা।
ফাজিল পর্যায়ে আরবী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এফিলিয়েশন পাওয়ার পর বিগত কয়েক বছর যাবত ফাজিল শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল আল আমিন ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা। অবকাঠামোগত যোগ্যতাসহ অন্যান্য বিষয় একধিকবার পরিদর্শন শেষে দেশের একমাত্র সরকারি আরবী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এই মাদ্রাসাটিকে তাদের অধিভূক্ত করে। এমপিওভূক্ত না হওয়ায় মাদ্রাসার নিজস্ব তহবিল থেকে খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ এবং আলীম পর্যায়ের প্রভাষকদের নিরলস প্রচেষ্টায় ফাজিলের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল মাদ্রসাটি এবং প্রতিবছর প্রয়োজনীয় সকল শর্তাদি পুরণ সাপেক্ষে এফিলিয়েশন নবায়ন করে রাখে কর্তৃপক্ষ। অবশেষে কষ্টের স্বীকৃতি পেয়ে মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি ও রাঙামাটি বারের প্রেসিডেন্ট এডভোকেট মোখতার আহমেদসহ মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীরা আল্লাহর দরবারে শুকরিয়াসহ সরকারকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানায় এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
মাদ্রসার অধ্যক্ষ মাযঃ নুরুল আলম ছিদ্দিকী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সারাদেশে মাত্র ৬টি মাদ্রাসা এবার সুযোগ পেয়েছে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী তার আমাদের প্রতিষ্ঠানটি রাখায় আমরা আপ্লুত। প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্ত হওয়ায় মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে হজারও শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। ফাজিল এম পি ও ভুক্ত হওয়ায় আমরা আশা করছি আমরা আরো বেশ কিছু নুতন শিক্ষক নিতে পারবো। এতে উচ্চতর শিক্ষিত নতুন কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং পার্বত্য এলাকার শিক্ষার্থীরা নিজ এলাকায় থেকে সহজে উচ্চ ডিগ্রী নিতে পারবে। অধ্যক্ষ বলেন, ফাজিল গোছানো হলেই আমরা কামিল (মাস্টার ডিগ্রী) চালু করার আশা পোষণ করছি। এ লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সম্পন্ন প্রভাষক ও শিক্ষক চাই যাতে কামিল ক্লাস চালুর মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে আরবী শিক্ষায় একটি সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ তথা আদর্শ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তুলতে পারি। সেজন্য তিনি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।