এম.নাজিম উদ্দিন , ২৬ জানুয়ারি ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : আসন্ন ইউপি নির্বাচনে পাহাড়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জনগণের গনতান্ত্রিক অধিকার হরণের ষড়যন্ত্র চলছে। সার্বিক বিবেচনায় পার্বত্যাঞ্চল থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা জরুরী, তা নাহলে আগামী ইউপি নির্বাচনে পাহাড়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কোনো প্রার্থীকেই মাঠে থাকতে দিবে না।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার এই মন্তব্য করে বলেন, সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করে তুলতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, জনগণকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। বাংলাদেশ কৃষকলীগ রাঙামাটি জেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এসব কথা বলেন।
কৃষকলীগ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মো. জাহিদ আকতারের সভাপতিত্বে এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা। সম্মেলনে প্রধানবক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খন্দকার শামসুল হক রেজা, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের সহসভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন, যুগ্ম সম্পাদক সমির চন্দ্র চন্দ, যুগ্ম সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. মুছা মাতব্বর প্রমূখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সদস্য সান্তনা চাকমা।
দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, পার্বত্য এলাকার সকল সম্প্রদায়ের মানুষ আওয়ামী লীগকে পছন্দ করলেও অস্ত্রের ভয়ে বিভিন্ন এলাকায় মুখ খুলে কথা বলতে পারে না। তিনি বলেন, পাহাড়ে অব্যাহতভাবে চলছে অস্ত্রের ঝনঝনানী, অস্ত্রের ভয়ে পাহাড়ের সাধারণ মানুষ আতঙ্কে থাকে। সাধারণ মানুষের মনে সাহস যোগাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
এর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের সূচনা করা হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মোঃ জাহিদ আকতারকে সভাপতি এবং উদয় শংকর চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে রাঙামাটি জেলা কৃষকলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান