রাঙামাটি রিপোর্ট , ১৯ নভেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি : চলতি মাসের ২২ নভম্বর শুরু হতে যাওয়া প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় রাঙামাটি জেলা থেকে অংশগ্রহণ করবে সরকারি ও বে-সরকারি ৯১৪টি প্রাথমিক স্কুলের ১৩ হাজার ৪শত ২৯জন শিক্ষার্থী। জেলা পরিষদের মাসিক সভায় রাঙামাটি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এই তথ্য জানান। এদিকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন গতকাল ১৮নভেম্বর সফলতার সাথে শেষ হয়েছে জেএসসি পরীক্ষা। বুধবার সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় পরিষদের সদস্যগণ, কর্মকর্তাবৃন্দ ও হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের নীতিমালাগুলোকে মেনে এবং পরিষদের সাথে সমন্বয় রেখে আমাদের এ জেলার বসবাসরত মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে। এ জেলার মানুষের উন্নয়নে কাজ করে গেলে জনগণ তা স্মরণে রাখবে। প্রতিষ্ঠানের কাজের গতি বাড়াতে হস্তান্তরিত বিভাগের যেসব শূন্য পদ রয়েছে তা অবিলম্বে পূরণের উদ্যোগ নেয়ার জন্য তিনি বিভাগীয় প্রধানদের নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়মিত সভায় উপস্থিত থেকে স্ব স্ব বিভাগের সমস্যাগুলো সমাধানে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতালের রোগীদের চিকিৎসাপত্র, ছাড়পত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র সম্বলিত ছাপানো ফরম পরিষদ হতে প্রদানের ফলে কাজের গতি বেড়েছে। বর্তমানে একজন শিশু কনসালট্যান্ট রয়েছে এবং অন্যান্য বিভাগের জন্য কনসালট্যান্ট প্রদানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বলেন, গত জুন-জুলাই মাসে অতি বৃষ্টির কারণে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ২৯৭৩জন ধান ও সবজি চাষী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি জেলা পরিষদ হতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ জানান। এছাড়া সরকার কর্তৃক ৩০ভাগ ভর্র্তুকীতে কৃষকদের জন্য জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ১০০টি পাওয়ার টিলার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। চাহিদা অনুযায়ী তা বিতরণ করা হবে।
পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্্র এর ব্যবস্থাপক বলেন, চলতি মাসে জেএসসি পরীক্ষার কারণে পর্যটক কম হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে পর্যটক বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সভায় হস্তান্তরিত বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাগণও আলোচনায় অংশ নেন। এছাড়া সভায় পরিষদের সদস্যবৃন্দ বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক এবং জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান।