॥ সৌরভ দে ॥
রাঙামাটি এসে পৌছেছে করোনা টিকার প্রথম চালান। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার আবিষ্কৃত ‘কোভিশিল্ড’ নামের এ করোনা ভ্যাক্সিন এই প্রথম রাঙামাটি এলো। প্রথম চালানে রাঙামাটি জেলার জন্য পাঠানো হয়েছে ১২০০ ভায়াল (১২,০০০ ডোজ) টিকা।
রোববার (৩১ জানুয়ারী) দুপুর ১২:৪৫টায় টিকা বহনকারী ফ্রিজার ভ্যানটি স্বাস্থ্য বিভাগের সামনে এসে পৌঁছালে রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা তা গ্রহণ করেন। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্বর্তন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্যাকেটজাত করা ভ্যাকসিনগুলো গ্রহণের পর স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা তা ইপিআর ভবনের স্টোরে হিমায়িত করে রাখে। এই হিমায়িত স্টোর থেকেই পরবর্তীতে চাহিদা অনুযায়ী রাঙামাটির ২টি পৌরসভা ও ১০ উপজেলায় সরবরাহ করা হবে।
সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা জানান, আমরা ১৯ হাজার জনকে ভ্যাক্সিন দেওয়ার জন্য চাহিদা প্রেরণ করেছিলাম। তার মধ্যে ১২ হাজার ডোজ ভ্যাক্সিন আজ পৌঁছালো। টিকা প্রয়োগের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোন নির্দেশনা ঢাকা থেকে পাইনি। নির্দেশনা পেলে উক্ত ১২ হাজার ডোজ ভ্যাক্সিন প্রয়োগ শুরু করা হবে এবং প্রথমদিন থেকে ৫ মাসের মধ্যে তা শেষ হবে।
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ও করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা. মোস্তফা কামাল জানান, ফেব্রুয়ারীর ৭ তারিখ হতে ভ্যাক্সিন প্রয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে তবে ঢাকা থেকে নির্দেশনা পেলেই এই ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে করোনার সম্মুখযোদ্ধাদের এই ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে তবে নিবন্ধনকৃত সবাই ভ্যাক্সিন পাবেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও সাংবাদিকদের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তেরর কাছে প্রথম পর্যায়ে ১৯ হাজার ৪০০টি কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনের চাহিদা দেয়া হয়। চাহিদার বিপরীতে প্রাথমিকভাবে এই সরবরাহ এসেছে।
করোনা ভ্যাক্সিন প্রয়োগে রাঙামাটি সেনা রিজিয়নের অধীন সিএমইচ-এ ৪টি, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ৮টি, জরুরী ২টিসহ প্রত্যেক উপজেলায় ৩টি করে টিম কাজ করবে। প্রতি টিমে ২জন টিকাদানকারী, ৪ জন ভলান্টিয়ারসহ মোট ৬ জন সদস্য থাকবে। ভ্যাক্সিন প্রয়োগের লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলার স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে ।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, রাঙামাটিতে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে ১৮টি কেন্দ্রে।