রাঙামাটি পৌরসভার সম্ভাব্য নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী নিয়ে জল্পনার তালিকা বেশ লম্বা

811

॥ ইকবাল হোসেন ॥
আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই রাঙামাটি পৌরসভার বর্তমান পরিষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সে অনুযায়ী নির্বাচন এগিয়ে আসছে; এমনটাই স্বাভাবিক হিসাব। ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারও ঘোষণা করেছেন ডিসেম্বর থেকেই ধাপে ধাপে পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে- ইসির ওই বক্তব্য ঘিরে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তারপরও নির্বাচন হলেও হতে পারে এমনটাই ধারণা পর্যবেক্ষক মহলের।

কারণ করোনা উপেক্ষা করেই ইসি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি নির্বাচন করে ফেলেছেন। তা ছাড়া আইন অনুযায়ী, নির্বাচিত পৌরসভার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন করতে হয়। আর মে মাসের মধ্যে বেশির ভাগ পৌরসভার মেয়াদ পূর্ণ হবে, তাই নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা বেশ জোরদারই বলা যায়। ইসির তথ্য অনুযায়ী প্রথম ধাপে ২০-২৫টি পৌরসভায় ভোট নেওয়া হতে পারে, রাঙামাটি পৌরসভা সে তালিকাতেই থাকছে বলে ধারাণা করা হচ্ছে।

নির্বাচন হলে যারা মেয়র প্রার্থী হবেন তাদের অনেকেই ইতোমধ্যে গণমাধ্যম কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন নিজেদের প্রার্থীতার বিষয়ে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদেরই এ বিষয়ে আগ্রহ একটু বেশি। রাঙামাটির বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগের হওয়ায় এই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন বেশ সতর্কতার সাথে। এই তালিকাতে বেশ কিছু হেভিওয়েট নেতার নামও শোনা যাচ্ছে। তবে আলোচনা বেশ চাপা গোছের। এদিকে বিএনপি থেকে যারা প্রাথীতা নিতে আগ্রহী তারা বেশ জোরেসোরেই নিজেদের নাম প্রচার করছেন।

রাঙামাটি পৌর নির্বাচন ঘিরে মেয়র পদে যারা প্রার্থীতা পেতে লবিং তদবির ও জনসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন তাদের নিয়ে আমরা প্রকাশ করবো ধারাবাহিক প্রতিবেদন। তারই অংশ হিসেবে আজ প্রথম ধাপে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে এ প্রতিবেদন; আর বিএনপি প্রার্থী নিয়ে জল্পনার তালিকাও বেশ লম্বা।

পৌর নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী তালিকায় র্শীর্ষে আছেন সাবেক মেয়র সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভুট্টো। তার পরেই আছেন সদর থানা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. মামুনুর রশিদ মামুন, পৌর বিএনপির সভাপতি শফিউল আজম, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়াম্যান পদে নির্বাচন করা ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বাসেদ অপু, জেলা যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাকিল এবং সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাৎ মো. সায়েম।

সাইফুল ইসলাম চৌধুরী (ভুট্টো)
আসন্ন পৌর নিবার্চনে বিএনপি প্রাথী হিসেবে রাঙামাটি পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভুট্টো’র নামটি বেশ জোরের সাথেই বলে যাচ্ছেন তার সমর্থকরা। সরাসরি ভূট্টোর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- রাঙামাটি পৌরসভার ইতিহাসে ৪০ বছরে আমি প্রথম বিএনপি’র মেয়র ছিলাম। আর গত পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ কর্তৃক ভোট ডাকাতির নির্বাচনে পুরো চট্টগ্রাম বিভাগে বিএনপির সকল প্রার্থীদের মধ্যে আমি সর্বোচ্চ ৮,৩০০ ভোট পেয়েছি। আমি আর ১ঘন্টা সময় পেলে হয়ত মেয়র হয়ে যেতাম; ওরা যেভাবে কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতি করেছে তারপরও যতটুকু ভোট পেয়েছি তা পুরো চট্টগ্রাম বিভাগে বিএনপির সকল মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এবার যদি ধান আমাকে নমিনেশন দেয় তাহলে আমি অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নিব। তবে তিনি এও জানান, তাকে না দিলেও বিএনপি যাকেই নমিনেশন দিবে তিনি তার সাথেই কাজ করবেন।

সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভুট্টো তৃণমূল পর্যায় থেকে রাজনীতিতে উঠে আসার পাশাপাশি সামাজিক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথেও জড়িত আছেন। তিনি বর্তমানে- ডিসট্রিক্ট ফুটবল এসোসিয়েশন (ডিএফএ)’র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, রাঙামাটি জেলা শাখার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার তিনি সাবেক সেক্রেটারী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিভাষ ক্লাবের সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।

এ্যাড. মামুনুর রশিদ মামুন
রাঙামাটি জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক ও সদর থানা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. মামুনুর রশিদ মামুন’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ব্যক্তিগতভাবে আমার রাঙামাটি পৌরসভা নিয়ে স্বপ্ন আছে তাই দল যদি আমাকে নমিনেশন দেয় তাহলে আমি অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নিব। তিনি আরো বলেন দল যদি অন্য কাউকে নমিনেশন দেয় তাহলে আমি তার পক্ষে কাজ করবো দলের বাহিরে যাব না।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি, ছাত্রদলের মাঝেরবস্তি আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি, রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি, রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি পদপ্রার্থী, রাঙামাটি শহর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি, রাঙামাটি জেলা ছাত্রদলের (সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি), কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সদস্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সন্সেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক, জেলা বিএনপির কার্যকরী সদস্য, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক, ২বার নির্বাচিত সদর উপজেলা বিএনপির সভপতি, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক।

রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠন ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন এবং করছেন। তিনি রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অব রাঙামাটির সাবেক সভাপতি, রোটারী ক্লাব অব রাঙামাটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি, রোটারী বাংলাদেশের সাবেক অ্যাসিস্টেন্ট গভর্নর, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সিনিয়র সহ-সভাপতি, রাঙামাটি ডায়বেটিক এসোসিয়েশনের যুগ্ম-সম্পাদক, চেম্বার অব কমার্স ইনিস্টিউটের পরিচালক, ডিএসবি কলোনী জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক, আপার রাঙামাটি জামে মসজিদের সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাউথ রাঙামাটি ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক কাউন্সিলর, বাংলাদেশ এথলেটিকস ফেডারেশনের কাউন্সিলর, রাঙামাটি পাবলিক কলেজের দাতা সদস্য, রাঙামাটি আইনজীবী সমিতির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট উপ-কমিটির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক, জেলা ক্রিকেট খেলোয়ার কল্যাণ সমিতির সভাপতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫তম ব্যাচের পার্বত্য চট্টগ্রাম ইউনিটের সভাপতি, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর যুগ্ম-সম্পাদক। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।

এস.এম শফিউল আজম
এবিষয়ে পৌর বিএনপির সভাপতি শফিউল আজম’র সাথে যোগাযোগ করার পর তিনি জানিয়েছেন, আমি ২০১০ ও ২০১৬ সালে বিএনপি থেকে নমিনেশন চেয়েছিলাম তদ্রুপ এবারও নমিনেশন চাইব দল যদি আমাকে নমিনেশন দেয় তাহলে অবশ্যই আমি নির্বাচনে অংশ নিব। আর দধ যাকেই নমিনেশন দিক আমি তার পক্ষে কাজ করবো দলের বাহিরে যাব না।

তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়- কাচালং কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে। এরপর বাঘাইছড়ি উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি. জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নগর বিএনপির ২বার নির্বাচিত সভাপতি।

রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাঙামাটি জেলা ইউনিটের আজীবন সদস্য, মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক ও ফিসারী জামে মসজিদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মাহবুবুল বাসেদ অপু
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির সদর উপজেলার চেয়াম্যান প্রার্থী ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বাসেদ অপু’র সাথে এবিষয়ে আলাপকালে তিনি বলেন, পূর্বে আমি সদর উপজেলা নির্বচনে অংশ নিয়েছি। আসন্ন পৌর নির্বাচনে আমি নমিনেশন চাইব দল যদি আমাকে নমিনেশন দেয় তাহলে আমি অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নিব। আর দল যাকেই নমিনেশন দিক না কেন আমি ধানের পক্ষেই কাজ করবো।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি ১৯৮৬ সালে ছাত্রদলের রাজনীতিতে যোগ দেন, ১৯৯১ সালে জেলা ছাত্রদলের কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি, পৌর বিএনপির ২বার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক।

রাজনীতির পাশাপাশি ক্রীড়া ও সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সবুজ সংঘ ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, কিশোর সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, রাঙামাটি সাহিত্যাঙ্গণের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক,পাবলিক লাইব্রেরীর সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য, রেড ক্রিসেন্ট রাঙামাটি ইউনিটের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য ও আজীবন সদস্য।

সাইফুল ইসলাম শাকিল
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীতা বিষয়ে নেতা-কর্মীদের জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা রাঙামাটি জেলা বিএনপি থেকে নমিনেশনের অন্যতম দাবীদার জেলা যুবদলের পরপর দুইবার নির্বাচিত সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাকিলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি গত নির্বাচনেও নমিনেশন চেয়েছিলাম কিন্তু কেন্দ্র সাবেক মেয়র সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভুট্টে কে নমিনেশন দেয়। আমরা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেলেও আওয়ামীলীগের ভোট ডাকাতীর ফলে ৮ হাজার ৩’শ ভোট পেয়েছি। যা আসলে কম নয় দুপুরের মধ্যেই আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা প্রায় সকল ভোটকেন্দ্র দখল করে ফেলে। তাই আমাদের অনেক ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়েও ভোট দিতে পারেনি। না হয় নির্বাচনে ধানের জয় নিশ্চিত ছিলো।

তিনি আরো বলেন এবারও আমি নমিনেশন চাইব এবং আশাকরি এবার দল আমাকেই নমিনেশন দিবে। আর নমিনেশন পেলে আমি অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নিব। তিনি এ ও বলেন দল যদি অন্য কাউকে নমিনেশন দেয় আমি তার পক্ষে কাজ করবো। দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে যাব না।

জেলা যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাকিল তৃণমূল পর্যায় থেকে বিএনপির রাজনীতি করে এসেছেন, তিনি পর ২বার জেলা যুবদলের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এবং দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক পদেও আছেন। তিনি ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি, স্কুল কমিটির সভাপতি, কলেজ ও জেলা কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করছেন এবং করেছেন। তিনি প্রতিভাষ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সাইফুল ইসলাম শাকিল বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, রাঙামাটি জেলা শাখার আজীবন সদস্য। স্বর্ণটিলা জামে মসজিদের সহ-সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। এদিকে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।

আবু সাদাৎ মোঃ সায়েম
তৃণমুল পর্যায়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা আরেক যুবদল নেতা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাৎ মো. সায়েমও আসন্ন পৌর নির্বাচনে নমিনেশন পাওয়ার যোগ্য দাবীদার। এবিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- আসন্ন পৌর নির্বাচন উপলক্ষ্যে আমি বিএনপি থেকে মেয়র পদে নমিনেশন চাইব। দল যদি আমাকে নমিনেশন দেয় আমি অবশ্যই নির্বাচন করবো। আর দল যাকেই নমিনেশন দিক না কেন তআমি তার পক্ষে কাজ করবো। দলের বাহিরে কখনই যাব না।

তিনি তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে বর্তমানে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন- তিনি ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি, স্কুল কমিটির সভাপতি, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক, রাঙামাটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি, জেলা ছাত্রদলের সিঃ যুগ্ম-সম্পাদক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর বর্তমানে এ অবস্থানে আছেন।

আবু সাদাৎ মোঃ সায়েম তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও অবাধে বিচরণ করছেন। তিনি- জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, রাঙামাটি আম্পায়ার এন্ড স্কোরার এসোসিশেন’র সিনিয়র সহ-সভাপতি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার জুডো, করাতে ও শরীর গঠন উপ-পরিষদের সদস্য সচিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুস শুক্কর ক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক, বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি সংসদ রাঙামাটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, রাঙামাটি পার্বত্য জেলার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ইয়ুথ অর্গানাইজেশন ফর ইউনিটি ট্রাস্ট এ্যান্ড হেল্প (ইয়ুথ) এর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, পার্বত্যঞ্চলের সর্বপ্রথম অনলাইন ব্লাড ব্যাংক জীবন’র উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।

পূর্বে তিনি জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট উপ-পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক, রাঙামাটি জেলা ক্রিকেট টিমের অনুর্ধ ১৬, ১৮ এর সাবেক অধিনায়ক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য, জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়ার। ক্রীড়া ক্ষেত্রে তার যোগ্যতা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত “এ” গ্রেড আম্পায়ার এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃক লেভেল-১ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোচ।