॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
বছরখানেক ধরে সুনামগঞ্জ, ধর্মপাশা থেকে রাঙামাটিতে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের আনা-নেয়া করছে প্রমিজ পরিবহন। এরমধ্যেই যাত্রীদের মালামাল নিয়ে তাদের অব্যবস্থাপনায় ক্ষেভ প্রকাশ করেছে যাত্রিরা। শুক্রবার (১ জানুয়ারী) সকালে রাঙামাটিতে আসা প্রমিজ পরিবহন থেকে চট্টগ্রামে নেমে যাওয়া একজন যাত্রীর একটি লাগেজ এসপি অফিস এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে রেখে গাড়ি নিয়ে চলে যায় হেলপার-সুপারভাইজার।
এদিকে বেলা বাড়ার সাথে-সাথে লাগেজটিতে থাকা জিনিসপত্রে পিপড়া ও মাছির আনাগোনা শুরু হলে এলাকাবাসী লাগেজে অন্যকিছু আছে ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপস রঞ্জন ঘোষ ও রাঙামাটি কোতয়ালী থানার এসআই অরূপ তালুকদার এসে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা সন্দেহজনক লাগেজটি পর্যবেক্ষণের পর কয়েকজনকে স্বাক্ষী রেখে কাউন্টারে বুঝিয়ে দেন।
এসআই অরূপ তালুকদারের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সন্দেহজনক লাগেজ বিষয়ে খরব পাওয়ার সাথে সাথে আমরা এসে উদ্ধার করি এবং এটি খুলে দেখি। লাগেজটি খোলার পর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জাতীয় পরিচপত্রসহ কিছু কাগজপত্র পাই।
এদিকে এসপি অফিস এলাকার কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, শুক্রবার ভোরে ধর্মপাশা থেকে প্রমিজ পরিবহনটি আসার পর যাত্রী ও তাদের মালামাল নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা লাগেজটি আমরা দেখতে পাই। তবে বেলা ১২টা বাজার পর লাগেজটিতে পিঁপড়া ও মশামাছি আনাগোনা শরু করলে আমাদের সন্দেহ হয় তখন আমরা পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ এসে লাগেজটি উদ্ধার করে এবং এর সত্যতা যাচাই করে কাউন্টারে বুঝিয়ে দেয়।
অপরদিকে রাঙামাটি প্রমিজ কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা মো. রতন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার পর সে জানায়, আসলে মালামালের জন্য টোকেন ব্যবস্থা না থাকায় এবং গাড়ি যখন রাঙামাটি এসেছে তখন কাউন্টার বন্ধ থাকায় এ সমস্যাটি হয়েছে। আগামীতে যাতে এধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমরা সোচ্চার থাকব।