স্টাফ রিপোর্টার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি : বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটির দূর্গম বিলাইছড়ি পাংখোয়া পাড়ায় যীশু খ্রীষ্টের শুভ বড়দিন উৎসব পালন করা হয়েছে।
বিলাইছড়ি পাংখোয়া পাড়ায় এলাকাবাসীর আয়োজনে এ উপলক্ষ্যে ইভ্যানজেলিক্যাল চার্জ অব বাংলাদেশ গীর্জায় ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে ধর্মীয় সঙ্গীত, কীর্তন, প্রার্থনা ও কেক কেটে উৎসবের শুভ সূচনা করে খ্রীষ্টান ধর্মালম্বীদের নরনারীরা। পরে ধর্মীয় আলোচনা ও দরিদ্রদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ইভ্যানজেলিক্যাল চার্জ অব বাংলাদেশ গীর্জা পরিচালনা কমিটির সভাপতি লালছোয়াকলিয়ানা পাংখোয়া সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, পরিষদের সাবেক সদস্য অভিলাষ তংচঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাংলিয়ানা পাংখোয়া, বিলাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী কামাল উদ্দিন। এ সময় উপজেলার সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। ধর্মীয় আলোচনা সভায় বাইবেল পাঠ, ধর্মীয় বাণী ও আর্শিবাদ বচন দেন ইভ্যানজেলিক্যাল চার্জ অব বাংলাদেশ গীর্জার এ্যালসান পাংখোয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, উৎসব যার যার রাষ্ট্র সবার, আমরা বিভিন্নজন বিভিন্ন জাতি ধর্ম বর্ণের হলেও আমাদের প্রধান পরিচয় আমরা মানুষ। পৃথিবীতে যুগে যুগে যেসব মহামানবের জন্ম হয়েছে সবারই বানীতে একটাই কথা বলা রয়েছে। হিংসা, লোভ, হানাহানি ত্যাগ করে মানুষের কল্যাণে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারাই পরম ধর্ম। তিনি বলেন, জগতে ভালো কাজের প্রতিফলন সবসময় ভালোই হয়। খারাপ কাজের ফল খারাপ হয়। মৃত্যুর পরও মানুষের ভালো ও খারাপ কাজের কথা মানুষ বলে বেড়ায়। তিনি বলেন, ধর্ম-বর্ণ জাতি বিভেদ নয় একজন সৎ মানুষ হিসেবে সমাজের তথা দেশের কল্যাণে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারলেই জীবন স্বার্থক হবে।
পরে অতিথিরা দরিদ্রদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পাংখোয়া জাতিদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করে তরুন তরুনীরা।
সম্পাদনা- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান, সূত্র- অন্য মিডিয়া