॥ আলমগীর মানিক ॥
রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা থেকে অপহরণের শিকার হওয়া জনৈক প্রবাসীকে অপহরণের ৪৮ ঘন্টা পার না হতেই রাঙামাটি শহর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাঙামাটি শহরের কাঠাঁলতলী এলাকা থেকে অপহরণের শিকার সৌদি প্রবাসী হারূন শিকদারকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কবির হোসেন।
তিনি জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম জেলাধীন রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের দায়িত্বে থাকা সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম স্যারের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এবং তাহার উপস্থিতিতে কোতয়ালী থানা পুলিশ ও দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশের যৌথ টিম উক্ত হারূন শিকদারকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রাতেই দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘর থেকে বের হলে অপহরণের শিকার হন তিনি। নিখোঁজ হারূন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পূর্ব সরফভাটা সিকদার পাড়া গ্রামের আমিন শরিফ সিকদারের ছেলে। প্রবাসী হারুনের পরিবার সুত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে তিনি সৌদি আরব থেকে এসেছেন। নিখোঁজের কয়েক ঘণ্টা পর স্বজনদের মোবাইলে ‘তারা আমাকে মেরে ফেলবে’ হাররূনের কণ্ঠে এমন ভয়েস রেকর্ড পাঠিয়েছে অপহরণকারীরা। এরপর মধ্যরাতে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন স্বজনরা।
হারুনকে ফিরে পেতে তার পরিবার বুধবার (৫ অক্টোবর) সকালে দুটি মোবাইল নম্বরে দাবীকৃত ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পরও তাকে ছাড়েনি দুর্বৃত্তরা। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা না দেখে পরিবারের উৎকণ্ঠা ও পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগও করেছেন ওই পরিবারের লোকজন।
এমন সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচার হলে ওই দিন বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম তার এক ফেসবুক পোস্টে পুলিশের ওপর বিশ্বাস রাখতে বলেন। তিনি অতি শীঘ্র সুখবর দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
অবশেষে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মাথায় এসে অপহৃত হারুনকে উদ্ধারে করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত হারুনকে শুক্রবার দুপুর ১ টার দিকে তার পরিবারের জিম্মায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্বদানকারি পুলিশ কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম।