॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
যথাযোগ্য মর্যদায় নানা আনুষ্ঠানিকতা মাধ্যমে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এঁর ৯৩তম জন্মদিন পালন করা হয়। মঙ্গলবার দিবসটি ঘিরে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দীপংকর তালুকদার একাডেমিক ভবনের সভা কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভাশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সভার শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং মুজিব পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ঘাতকের বুলেটে নির্মমভাবে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ, প্রক্টর জুয়েল সিকদার, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক মো. নূরুজ্জামান এবং রাবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি মাহবুব আরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানগণ এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গৌরব চাকমা।
ভাইস চ্যান্সেলর তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ছিলেন এক মহিয়সী নারী। তিনি সেসময় বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনে নিজের সংসার ও সন্তানদের মানুষ করার পাশাপাশি সংগঠনের নেতা-কর্মী ও আত্মীয় স্বজনের প্রতি সবসময় মনোযোগ রাখতেন। অনেক ত্যাগ-তিতীক্ষা সহ্য করেছেন। শেখ মুজিবের বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠার পেছনেও বঙ্গমাতার অনেক অবদান রয়েছে। স্বামী বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ছায়ার মত অনুসরণ করে বেগম মুজিব জীবনে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেছেন। এজন্য তাকে অনেক কষ্ট-দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এছাড়া স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিসংগ্রামসহ বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ক্ষেত্রে বঙ্গমাতার অসামান্য অবদান রয়েছে।