সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী রাঙামাটিতে টহল কার্যক্রম শুরু করেছে এপিবিএন

291

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়মিত বাহিনীর পাশপাশি সরকারের বিশেষ ব্যবস্থা অনুযায়ী কাজ শুরু করেছে আর্মড পুলিশ ব্যটালিয়ন (এপিবিএন)। শুক্রবার (১ জুলাই) থেকে পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রাঙামাটিতে টহল কাজ শুরু করে এপিবিএন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ১ এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফজলুল করিম। পার্বত্য এলাকায় রক্তপাত খুনোখুনি ও চাঁদাবাজিসহ সবধরনের অপরাধ দমন করে জনসাধারণের মাঝে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে এপিবিএন কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

গত ২৫ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের মহাপরিদর্শক ( আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ রাঙামাটিতে এমন ঘোষণা দেন। সরকারি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে তিন পার্বত্য জেলায় বিশেষভাবে কাজ করার লক্ষে এপিবিএনএর একটি আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন করা হচ্ছে। ওইদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজি এই অফিসের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফজলুল করিম শুক্রবার জানান, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার থেকে রাঙামাটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে টহল শুরু করেছে এপিবিএন সদস্যরা। প্রাথমিকভাবে রাঙামাটিতে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে দুইজন সহকারি পুলিশ সুপার ও দুই শ’ এপিবিএন সদস্য কাজ শুরু করেছে। আপাতত তারা শহর এলাকায় নিয়মিত টহলসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে। তবে যন্ত্রপাতি ও যানবাহনসহ অন্যান্য কারিগরি সহায়তা পূর্ণাঙ্গ হলে টহল জোরদারসহ পরিধি বৃদ্ধি করা হবে।

তবে ইতোমধ্যেই শহরে কাজ করার মতো প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তাদের হাতে এসে পৌঁছায় প্রতিদিন দু’টি টহল দল নিয়মিত কাজ করবে। ফজলুল করিম বলেন, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক পার্বত্য এলাকায় রক্তপাত, সন্ত্রাস, খুনোখুনি ও চাঁদাবাজিসহ সবধরনের অপরাধ দমন এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা দৃঢ়তার সাথে কাজ করবো।

প্রসঙ্গত, এবিএন সদস্যরাও পুলিশের একটি অংশ, তবে তারা সন্ত্রাস দমনে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। ২৫ মে অফিস উদ্বোধনের সময় আইজিপি বেনজির আহমেদ। তিনি বলেছিলেন এপিবিএন পাহাড়ে, সমতলে সব জায়গায় কাজ করতে পারবে বলেই তাদেরকে এখানে নিয়ে আসা হচ্ছে। আমাদের টার্গেট হলো আমরা বাংলাদেশে কোন চাঁদাবাজি করতে দেবে না। আমাদের বাংলাদেশে কোন রক্তপাত হতে দেবে না। আমরা এত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছি, জঙ্গি দমন করেছি, সন্ত্রাসীদের ঘরে ফিরিয়ে দিয়েছি। চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী সবগুলোর যেখানে কন্টোল করে নিয়ে এসেছি। এখন পার্বত্য তিন জেলায় আর রক্তপাত চলতে দেয়া হবে না এবং সন্ত্রাসীর হাতে সাধারণ মানুষকে খুন হতে দেয়া হবে না।