সাংবাদিকরা সমাজের জন্য আলোক বর্তিকাঃ প্রেসক্লাবের সম্মাননা অনুষ্ঠানে এমপি দীপংকর

581

॥ মঈন উদ্দীন বাপ্পী ॥
রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেছেন, সাংবাদিকরা সমাজের জন্য আলোক বর্তিকা, তাদের লেখনীর রেশ ধরেই সমাজ এগিয়ে যায় এবং দেশ উন্নত হয়; তাই আমরা দ্বিাধহীন চিত্তে বলতে পারি একটি জাতির উত্তরণে সাংবাদিকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শুক্রবার (০৪ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত পাহাড়ে সাংবাদিকতার পথিকৃৎ চারণ সাংবাদিক আলহাজ্ব একে এম মকছুদ আহমেদের সাংবাদিকতায় ৫০বছর পূর্তি ঘিরে রাঙামাটি প্রেসক্লাব আয়োজিত গুণীজন সম্মাননা ২০২১ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
P.1

এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাঙামাটি প্রেসক্লাব ৫জন গুনী ব্যক্তিত্বকে সম্মœননা প্রদান করে। খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুণীজনদের হাতে প্রেসক্লাবের সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম নিজামী, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক (ডিসি) একেএম মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মোঃ মুছা মাতব্বর। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত গুণীজনদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি একেএম মকছুদ আহমেদ এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা। অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জিতেন বড়–য়া, বিটিভি লোক লোকালয় অনুষ্ঠানের পরিচালক চৌধুরী আতাউর রহমান’সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক।

3

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি তালুকদার বলেন, মকছুদ আহমেদ পাহাড়ে নির্ভিকভাবে সাংবাদিকতা করে গেছেন। তিনি বলেন, বিগত ৫০ বছর ধরে সাংবাদিকতার পাশাপাশি একেএম মকছুদ আহমেদ ৩৮ বছর ধরে গিরিদর্পণ পত্রিকা প্রকাশ করে যাচ্ছে এবং একটি দিনের জন্য তা বন্ধ হয়নি যা এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তিনি আরো বলেন, একুশে পদক পাওয়ার জন্য তিনি চেষ্টা করেছিলেন যদিও এবছর তিনি পাননি। একুশে পদক না পাওয়ার বেদনা যেমন তার মনে রয়েছে তেমনি আমাদের মাঝেও বেদনা বিরাজ করছে। আগামীতে আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করবো পাহাড়ের সাংবাদিকতায় এই গুনী ব্যাক্তিটি যেন একুশে পদক পান।

2

এমপি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে রাউজানের ঢালাইমুখ পর্যন্ত চারলেনের সড়ক নির্মিত হচ্ছে। রাউজান থেকে রাঙামাটির দূরত্ব তেমন না। তাই সংসদে বলেছি রাঙামাটি পর্যন্ত চারলেনের সড়ক নির্মিত করা হোক। আমার এ বক্তব্য নিয়ে অনেকে নানারকম কথা বলেছেন। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- আপনাদের সম্পদের কোন ক্ষতি হবে না। চারলেনের সড়ক হবে রাঙামাটির শহরের প্রবেশ মুখ পর্যন্ত। এইজন্য তিনি জনগণকে সচেতন করতে লেখালেখির মাধ্যমে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখতে অনুরোধ জানান।
আলোচনা শুরুর প্রাক্কালে জাতীয় সংঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। এরপর আগত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ এবং উত্তরীয় পরানো হয়।