দীপ্ত হান্নান- ২৪ জুন ২০১৮, দৈনিক রাঙামাটি: রাঙ্গামাটি শহরের প্রতিথজসা ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক মোস্তফা কামাল। মিষ্টভাষী, সদালাপী এবং খুবরকম ভাল মানুষ হিসেবে যার পরিচয়। ক্লোকরেটাল ক্যান্সার ও কিডনি সমস্যার কারনে বর্তমানে তিনি অনেকটা অসহায়। যেন বেঁচে থেকেও প্রাণহীন।
২০১২ সালের জুনে তার শরীরে ক্লোকরেটাল ক্যান্সার ধরা পরে। তিন দফা অপারেশনের পর কেমো রেডিয়েশন চিকিৎসা চলে চট্টগ্রাম, ঢাকা ও মুম্বাইতে (ভারত)। চিকিৎসায় কোটি টাকার উপরে ব্যয় হয়। পুরোপুরি সুস্থ না হলেও ক্যান্সারের সাথে বন্ধুত্ব করে সময়টা কোনোমতে চলছিল। কিন্তু তার দুটি কিডনিই ইউডোলজী সমস্যায় আক্রান্ত হয়। আবার অপারেশন করতে হয়। নিয়মিত চলছে ডায়ালিসিস। এ দফায় তার ৭ লাখ টাকার বেশী ব্যয় হয় । এখন প্রতি সপ্তাহে ডায়ালিসিসে খরচ হয় ২৫ হাজার টাকা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিজের সঞ্চিত অর্থ ও অনুদান পেয়ে চিকিৎসা খরচ চালানো হয় বলে পরিবার সুত্রে জানা গেছে।
১৯৯০ সালে গিরিদর্পন পত্রিকায় তার সাংবাদিকতার জীবন শুরু হয়। ৯২ থেকে ৯৯ পর্যন্ত দৈনিক বাংলার বাণীতে কাজ করেন। ১৯৯৮ সালে যোগ দেন বিটিভিতে। পাশাপাশি ২০১৪ সালে দৈনিক অবজারভারে যোগদেন। এখনও রয়েছে এ দুটি গণমাধ্যমে। তার কর্ম জীবনে যক্ষা বিষয়ক স্বাস্থ্য রিপোটিং এর জন্য পেয়েছেন ব্র্যাক জাতীয় মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ক্রীড়া ও স্কাউটিং এর সাথে যুক্ত রয়েছে। যুক্ত রয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সাংবাদিকতা, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, স্কাউটিং এর জন্য পেয়েছেন অনেক সম্মাননা। সর্বশেষ দৈনিক রাঙামাটি পত্রিকার গুণীজন সম্মাননা পেয়েছেন। শিক্ষক হিসাবে তাঁর ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। রাঙ্গামাটির সনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিশু নিকেতনের অধ্যক্ষ ছিলেন। মাত্র ৪৪ বছর বয়সে স্ত্রী জাহেদা ও একমাত্র মেয়ে তোরশাকে নিয়ে তার সংসার জীবন।
কিডনি আক্রান্ত হয়ে তিনি পিজি হাসপাতালে দীর্ঘ দিন চিকিৎসা নিয়েছেন। এখনও রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম-ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজনে বিরামহীন দৌড়ঝাপ করছেন। এ অসুস্থ্য অবস্থায়ও তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন। এখনো বিটিভির স্পেশাল রিপোটিং এ তার সচিত্র প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছে। ২০১৭ সালের ১৩ জুনের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দূর্যোগের পর প্রতিদিন বিটিভির সংবাদে রাঙ্গামাটি থেকে তিনি সংবাদ প্রচারে পিছিয়ে থাকেননি।
তার সুচিকিৎসার জন্য রাঙামাটিসহ দেশের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান।