॥ ইকবাল হোসেন ॥
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের রোগী প্রথম সনাক্ত হওয়ার পরপরই সরকার ২৬ শে মার্চ থেকে সারাদেশে অঘোষিত লকডাউনের ঘোষনা দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে অঘোষিত লকডাউনের ২৭ দিন অতিবাহিত হতে চলেছে। জেলার বেশিরভাগ মানুষ শ্রমজীবি হওয়ার দরুণ জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি ত্রাণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে জনপ্রতিনিধি সহ বিভিন্ন সমাজসেবী মন-মানসিকতার বিত্তশালীরা।
বিত্তশালীদের একজন রাঙামাটি লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি ও হাজী ইউছুফ আলী কোম্পানির পুত্র মাঈন উদ্দীন সেলিম, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রথমে ৩০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণীর সময় সাধারণ জনগনের হাহাকার দেখে আশাহত হয়ে ২৯৯ নং আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপির একান্ত পরামর্শে দৈনিক ৩০-৫০ টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন যা গত ১লা এপ্রিল থেকে চলমান রয়েছে।
সেলিমের এই কার্যক্রম দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই কার্যক্রমে সাধুবাদ জানিয়ে অনেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। অন্যদিকে ত্রাণ বঞ্চিত মধ্যবিত্ত পরিবারের কয়েকজন ১৬ এপ্রিল সিএইচটি টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত ভিডিও বক্তবে কমেন্টের মাধ্যমে ত্রাণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে মন্তব্য করেন। এরই প্রেক্ষিতে তাদের কয়েকজনকে গোপনে ত্রাণ সমগ্রী উপহার সরুপ পৌঁছে দেন সেলিম।
সেলিম বলেন, লকডাউনের কারণে রাঙামাটিতে এমন অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার আছে যাদের কর্মস্থল বন্ধ হয়ে পরায় কর্মহীন হয়ে পরেছে। কিন্তু কারো কাছ থেকে কোনো সহযোগীতা চাইতে পারছেনা, হাত পাতার লজ্জায় ঘরে না খেয়ে বসে আছে অনেকেই। এমন কিছু পরিবার কে আমি গোপনে বাসায় উপহার স্বরুপ কিছু খাদ্য সমগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি।
তিনি, দৈনিক রাঙামাটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন আপনারা সংবাদ প্রকাশের পর যে কয়েকজন আপনাদের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছে তাদের আমি ত্রাণ সমগ্রী দিয়ে দিয়েছি এবং আমি বার বার আহ্বান করবো আমাদের রাঙামাটিতে যারা স্বাবলম্বী ও বিত্তশালীরা আছেন তারা নিজ সামার্থ্য অনুযায়ী আমাদের জেলার অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ান। কারণ আমাদের জেলার মানুষদের বাঁচানোর দায়িত্ব আমাদের। তাই আমরা সকলে যদি একত্রিত হয়ে কাজ করি বা তাদের পাশে দাঁড়াই তাহলে আমাদের রাঙামাটিতে একজনও না খেয়ে থাকবে না বলে আমি মনে করি।