ঢাকা ব্যুরো অফিস, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি : সিলেটের চান্দপুর ও বেগমখানে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নামে দেশি-বিদেশি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছে চা-শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত ভূমি দখলের চক্রান্ত চলছে। চা-শ্রমিকরা বংশ পরম্পরায়; দেড়’শ বছর ধরে যে অনাবাদি জমিকে ফসলী জমিতে পরিণত করেছে তা জোর করে দখলের চক্রান্ত করছে একটি মহল। ক্ষমতাসীন বিভিন্ন লুটেরাদের নজর থেকে এই জমি ও ফসল রক্ষার দাবিতে জোর আন্দোলন চালাচ্ছে সে অঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমিক।
সেখানকার পরিস্থিতি, আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আজ সকাল ১১টায় পল্টনের বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তিভবনে ‘স্পেশাল ইকোনোমিক জোন- এর নামে চা-শ্রমিকদের উচ্ছেদ, প্রকৃতি এবং পরিবেশ কার স্বার্থে’- শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এর উদ্যোগে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সিপিবির সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। আলোচনা করেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামন, তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদ, সাংবাদিক-কলামিস্ট আবু সাঈদ খান, বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চা ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন নাইডু প্রমুখ।
আলোচনা সভার শুরুতেই চান্দপুর ও বেগমখান অঞ্চলে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সিপিবি-বাসদের মূল্যায়ন উপস্থাপন করেন বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন। এরপর সিপিবি-বাসদ প্রতিনিধি দলের পক্ষে সেখানকার পরিস্থিতি ও পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান