॥ স্মৃতিবিন্দু চাকমা ॥
দৈনিক রাঙামাটির ২৬ আগস্ট প্রকাশিত সংখ্যায় ‘জুরাছড়ির নন্দীছড়া গ্রামের শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত’ প্রতিবেদনটি দেখে স্বেচ্ছায় বিনামূল্যে শিশুদের শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত জুরাছড়ির এক তরুণী। তার নাম রীতা চাকমা।
রীতা প্রত্যন্ত জুরাছড়ি উপজেলা থেকে প্রাইমারি, হাইস্কুল গন্ডি পেরিয়ে বর্তমানে রাঙামাটি সরকারি কলেজে বিএসএস চুড়ান্ত পর্বে অধ্যয়নরত। এতদিন তাদের সেই বিএসএস ফাইনাল পরীক্ষা হয়ে যেত, বিশ্ব মহামারি করোনার কারণে ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। রিতা চাকমা বাড়ি ১নং জুরাছড়ি ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ডে গবছড়ি গ্রামে। দুই ভাইবোনের মধ্যে তিনি বড়, মা বাবা দুজনই কৃষি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। মা বাবাদের স্বপ্ন মেয়েটি হোক একদিন আলোকিত মানুষ। রিতা চাকমা জানান, জানিনা আমার কাঙ্খিত সেই স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা, বর্তমান সময়ে প্রাইমারি বিদ্যালয়ে শিক্ষক হতে হলে বিএ পাশ করতে হয়। করোনার কারণে আমাদের পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। তবে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে পড়াশুনা চালিয়ে যাব।
কথা হয় রিতা চাকমা মা বাবার সাথে, রিতা চাকমা’র মা শান্তনা চাকমা আলাপ চারিতায় বলেন, প্রাইমারি স্কুল জীবন থেকে আমার মেয়ের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন,আমরা অনেক কষ্ট করে কৃষি সবজি বিক্রি করে মেয়ের পড়াশুনার খরচ দিয়ে থাকি। বর্তমান সময়ে সরকারি চাকুরী পাওয়া আকাশ কুসুম কল্পনা, জানিনা ভবিষ্যতে আমার মেয়ের স্বপ্ন সত্যিকার অর্থে পূরণ হবে কিনা,নাকি শুধু কল্পনায় থেকে যাবে?
নন্দীছড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা জ্ঞানশ^র চাকমা জানান,আমাদের গ্রাম থেকে নেই কোন উচ্চ শিক্ষার্থী,আমাদের ছেলেমেয়েদের মানুষ গড়ার ক্ষেত্রে রিতা চাকমা এগিয়ে আসলে সাধুবাদ জানাব। ভবিষ্যতে যাহাতে তাদের ছেলেমেয়েরা উচ্চতর শিখরে পৌঁছতে পারেন সেই সফলতা কামনা জ্ঞানশ^র চাকমা’র।