॥ কাউখালী প্রতিনিধি ॥
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া দক্ষিণে পশ্চিম সোনাইছড়ি বন বিভাগের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে একটি চক্র বিশাল মাছের (গোঁধা) বাধ নির্মান করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী জানায়, ওই এলকায় বনবিভাগের একটি অফিসে রয়েছে এবং সেখানে সাবংক্ষণিক সরকারি কর্মচারীরা অবস্থান করলেও তারা রহস্যজনকভাবে সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠা এই মাছের ঘের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিনে উপজেলার শেষ সিমান্ত এলাকা বেতবুনিয়া ইউপি‘র প্রত্যন্ত পাহাড়ী এলাকা পশ্চিম সোনাইছড়ি এবং পাশর্^বর্তী রাঙুনীয়া উপজেলার উত্তরে শেষ সিমান্তবর্তী এলাকা পোমরার শেষ সিমানা পাহাড়ী প্রত্যন্ত এলাকা। যেখানে উভয় উপজেলার সিমান্তবর্তী এলাকা নিরাপত্তার জন্য নেই কোন আইন শৃংখলা বাহিনীর কোন ক্যাম্প বা পুলিশ ফাড়িঁ। রয়েছে সেখানে কাউখালী উপজেলাধীন খাসখালী রেন্জ এর ঝুঁম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের প্রায় কয়েক হাজার একর পাহাড়ী উচু/নিচুঁ পাহাড় বন বনানী ধান্য জমি। রয়েছে বন বিভাগের জণ-অংশিদারিত্ব মুলুক্ব কয়েক শত একর আগর বাগান। যার পরিমাণ প্রায় ২০ হেক্টর ( প্রতিজনে ০.৫ হেক্টর) করে (৯৫ খাসখালী মৌজা)। বাগান সৃজন করা হয় ২০০৮-২০০৯ ইং সালে। উপকারভুগির সংখ্যা মোট ৪০ জন বলে জানা যায়।
কাউখালী উপজেলার পাশর্^বর্তী উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের মোহাম্মদ আবু বকর প্রকাশ বাহাদুর মেম্বার (সাবেক) ও তার ছোট ভাই মোহাম¥দ আবু জাফর গং এই বিশাল মাছের ঘের (গোধা) নির্মান এবং ছোট পাহাড়ের উপর নতুন করে ঘর নির্মান করেছে বলে জানায় এলাকাবাসী।
গত ১৭আগষ্ট/২০২১ ইংতারিখে জনৈক আমাতুননুর নামক স্থানীয় একজন বাসিন্দা (আগরবাগান সুফলভুগী) আরেকজন বাসিন্দা মো, নেজাম বন বিভাগের জায়গায় অবৈধভাবে (দাগ নং ৩৯৭৪) পাশর্^বর্তী রাঙুনীয়ার পোমরা ইউনিয়নের বাসিন্দা আবু বকর(বাহাদুর) এবং তার ছোট ভাই আবু জাফর মাছের বাধ (গোধা) নির্মান করে ইটের ভাটায় (বাকি বিল্লাহর ইটভাটা) ৫লক্ষ টাকার অবৈধ মাটি বিক্রি ও নতুন ঘর নির্মান করেন মর্মে খাশঁখালী রেন্জ অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
কাউখালী উপজেলা সদর হতে প্রায় ২৪ কিলোমিটার পুর্ব দক্ষিণে প্রত্যন্ত বেতবুনিয়া ইউনিয়নের এই সোনাইছড়ি গ্রামে সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায় সরকারী বন বিভাগের সংরক্ষিত বনায়নের জায়গা রয়েছে প্রয় ১৭ শত একরের মতো এবং পিএফের জায়গা রয়েছে প্রায় ৩ হাজার হেক্টরের মতো। বন বিভাগ সুত্রে জানা যায়, পাশপাশি সরকারী খাসঁ জমি এবং কিছু ব্যাক্তি মালিকানাধীন রেকর্ডিয় জমি রয়েছে বলে জণশ্রুতি রয়েছে। কিন্তু এখানে রেকর্ডিয় জমির বাহিরে বেশিরভাগ জায়গা বন বিভাগের হয়তো দির্ঘদিন যাবত এই এলাকায় বিভিন্ন এলাকা হতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার গরীব অসহায় লোকজন এই এলাকাতে এসে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো,খোরশেদ, মুছা, জসিম উদ্দিনের সাথে সাথে আলাপকালে তারা জানান, কোনটা সরকারের খাস জমি, কোনটা রেকর্ডিয় জমি, কোনটা বন বিভাগের জমি তা তো আমরা জানিনা কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে এখানে বেশিরভাগ জায়গা বন বিভাগের।
কথা হয় অভিযুক্ত আবু বকর (বাহাদুর) মেম্বার যারা দুই ভাই পাশর্^বর্তী রাঙুনীয়ার পোমরার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বাহাদুর মেম্বার বলেন আমি ২০১১ইং সালে পোমরা ইউপির ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হই। আমি পোমরা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলাম বর্তমানে ২নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে আছি, কাঊখালীর বেতবুনিয়া সোনাইছড়ি (৪নং ওয়ার্ড) আমার পিতার পুর্ব পুরুষদের জমি আছে যেগুলি রেকর্ড আছে কিন্তু সেগুলি আমার বাপ দাদাদের জমি কিন্তু এগুলি এখনো ভাগ করা হয়নি তা ছাড়া আমি সেখানে আরো ৫ কানি জমি কিনেছি কিন্তু রেকর্ড করার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন সচেতন মহল মনে করেন এসব বিষয়গুলি সরকারের বন বিভাগ খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।