সোমবার থেকে পাহাড়ে শুরু হচ্ছে পাঁচদিনব্যাপী এ্যাডভেঞ্চার উৎসব : আসছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী

443

॥ ইকবাল হোসেন ॥
সোমবার থেকে পাহাড়ে শুরু হচ্ছে ৫দিনব্যাপী এ্যাডভেঞ্চার উৎসব। রাঙামাটি মারি স্টেডিয়াম থেকে সোমবার সকাল ১০টায় ‘বঙ্গবন্ধু এ্যাডভেঞ্চার উৎসব’ শিরোনামের নানামুখি ক্রীড়া ও রোমাঞ্চকর এ অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে পাহাড়ের দ্বিতীয়বারের মতো এ উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

পাঁচদিনের এ উৎসবে তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন স্পটে নিজেদের দক্ষতা ও সাহসিকতা প্রদর্শন করবে একশত ক্রীড়াবিদ। নারী-পুরুষের সমন্বয়ে অংশ নিতে যাওয়া ওই এক শ’ ক্রীড়াবিদের মধ্যে সারাদেশ থেকে ৫০ জন এবং পাহাড়ের তিন জেলা থেকে ৫০জন ক্রীড়বিদ অংশ নিবে। উদ্বোধনের পরপরই অংশ গ্রহণকারীরা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ছড়িয়ে পড়বে। তিন জেলাতেই তারা বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিবে।

উৎসবের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে শনিবার বিকেলে উন্নয়ন বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে ‘বঙ্গবন্ধু এ্যাডভেঞ্চার উৎসবের প্রস্তুতি বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি। এ সময় বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল আলম নিজামী, সদস্য প্রশাসন আশীষ কুমার বড়–য়া, সদস্য পরিকল্পনা ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী ও নির্বাহী প্রকৌশলী মুজিবুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, টেকসই পর্যটনখাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধানক্ষেত্র হতে পারে। বিশেষ করে অ্যাডভেঞ্চার পাহাড়ের প্রতি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ করবে; যা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি জানান, বিভিন্ন ইভেন্টের মধ্যে থাকছে পর্বতারোহণ, নৌবিহার, কায়াকিং, হাইকিং ও ট্রেইল রান, টিম বিল্ডিং, ট্রেজার হান্ট, ট্রেকিং, ক্যানিওনিং, ট্রি ট্রেইল, রোপ কোর্স, মাউন্টেইন বাইক, জিপলাইন, রেপলিং, দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন ও কেভ ডিসকভারী। এসব ইভেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দুঃসাহসিক অভিযাত্রায় এক অন্যরকম μীড়া অ্যাডভেঞ্চারের অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, এতে অ্যাডভেঞ্চার μীড়াপ্রেমী অংশগ্রহণকারীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উনড়বতি হবে। এছাড়া পাহাড় ও সমতলে বসবাসকারী জনমানুষের এ কার্যμমের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠতর হবে এবং পরস্পরের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন সুদৃঢ় হবে। জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকীর শেষলগ্নে ও বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তির শুভক্ষণে তাঁর নামে অনুষ্ঠিত অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের ব্যাঞ্জনা হবে সুদূর প্রসারী।