॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
মিথ্যা অভিযোগ করে নিরাপত্তা বাহিনীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এক পাহাড়ি যুবক। সে তার স্ত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে কাকুতি মিনতি করে অভিযোগ করার পর দ্রুত অভিযান পারিচালনা করে সেনা সদস্যরা। পরে জানা গেল অপহৃত নারী তার স্ত্রী নয় বরং সে নিজেই তাকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৬জুন) ইউপিডিএফ এর ট্যাক্স কালেক্টর হিসেবে পরিচিত মদন চাকমা (৩৫) নানিয়ারচর সেনা জোন সংলগ্ন ইসলামপুর আর্মি ক্যাম্পে এসে অভিযোগ করে, ‘সে আর ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে থাকবেনা বলে ঘোষণা করায় তাকে ইউপিডিএফ সদস্যরা অপরহরণ করে নিয়ে যায়। পরে কৌশলে সে তাদের আস্তানা থেকে পালিয়ে এলেও সন্ত্রাসীরা মদন চাকমার বাড়ী থেকে তার স্ত্রী শুবল পুরি চাকমা (৩০) কে অপহরণ করে নিয়ে গেছে’। মদন এ সময় আরো জানায়, তার অপহৃত স্ত্রীকে বর্তমানে বাকছড়ির আওতাভুক্ত লম্বাছড়ি এলাকার প্রাক্তন কারবারি, অমরেশ চাকমার বাড়িতে আটক করে রাখা হয়েছে। মদন জানায় ‘অমরেশ চাকমা পুর্বে কারবারির কাজ করলেও বর্তমানে ইউপিডিএফ এর একজন সক্রিয় সদস্য এবং সহায়তাকারি’।
মদন চাকমা আকুতিতে সেনা সদস্যরা স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য ওই রাতেই অভিযান পরিচালনা করে অমরেশ চাকমার বাড়ি থেকে অপহৃত মহিলাকে উদ্ধার করে। এ সময় অমরেশ চাকমাকে আটক করা হয়। পরদিন সকালে তাদের দু’জনকেই বিধি মোতাবেক নানিয়ারচর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
কিন্তু পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের উদ্ধারকৃত মহিলা এবং কারবারি চাকমা জানায়, শুবল পুরি চাকমা প্রকৃতপক্ষে মদন চাকমার স্ত্রী নয়। মুলত মদন চাকমা নিজেই তাকে মানিকছড়ি থেকে অপহরণ করে লম্বাছড়ি নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে। অমরেশ চাকমা জোরপুর্বক উক্ত মহিলাকে আটক করে রাখে।