॥ আলমগীর মানিক ॥
ইন্টারনেটে ছবি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের পর অবশেষে হাতেনাতে আটক হলো ধর্ষক আলমগীর মেম্বার। আলমগীর বরকলের সাবেক ইউপি মেম্বার ও ওই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা। রাঙামাটির কোতয়ালী থানা পুলিশ শুক্রবার বিকেলে শহরের রাজবাড়ি এলাকা থেকে তাকেগ্রেফতার করে। রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ছুফি উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধার ভিকটিমকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে জানিয়ে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কবির হোসেন জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে কোতয়ালী থানা ধর্ষণ ও পর্নগ্রাফী আইনের দুই ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধর্ষিতা নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে দায়েরকৃত মামলা নাম্বার-২১, তারিখ: ১৬/১০/২০২০ইং।
ভূক্তভোগী নারী জানিয়েছেন, ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আলমগীর অনেক আগে থেকেই বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বছরের বছর ধরে আমার সাথে শারিরিক সম্পর্ক করে আসছিলো। তার প্রতারনার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি গত দুই বছর ধরে তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সম্প্রতি সে আমার মোবাইল নাম্বারে কল করে তার সাথে যোগাযোগ করতে বলে এবং একলাখ টাকা দিতে বলে।
অন্যথায় তার সাথে আমার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবে বলেও হুমকিও প্রদান করে আসছে। তার অব্যাহত চাপে আমি অতিষ্ট হয়ে উঠছিলাম। শুক্রবার সকাল থেকেই সে আমাকে তার সাথে হোটেলে দেখা করতে বলে। আমি বিষয়টি আমার স্বজনদের জানিয়ে নিরূপায় হয়ে রাজবাড়িস্থ হোটেল দীঘনিটিতে আলমগীর মেম্বারের সাথে দেখা করতে যাই। এসময় ২০৫ নাম্বার রুমে নিয়ে আমার সাথে জোর করে আবারো শারীরিক সম্পর্ক করে।
ভিকটিম নারী অভিযোগ করে বলেন, এই আলমগীর মেম্বারের কারনে ইতিপূর্বে আমার সাজানো গোছানো সংসারও ভেঙ্গে গেছে। তারপরও সে আমাকে বিয়ে করেনি। আমার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময় আমার সাথে শারিরিক সম্পর্ক করে মুহুর্তগুলো আমার অগোচরেই ভিডিও এবং ছবি তুলে রেখেছে বলে আমাকে প্রায় সময়ই হুমকি প্রদান করতো।
এদিকে আটককৃত ধর্ষক আলমগীর মেম্বার এর বিরুদ্ধে আগের আরো কয়েকটি মামলাও রয়েছে। তার এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, আলমগীর মেম্বার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত। নারী সংক্রান্ত অর্ধশত ঘটনা ঘটালেও তার প্রচন্ড রকমের প্রভাবের কারনে ভূক্তভোগী কেউই ভয়ে মুখ খুলেনা। তার কঠোর শাস্তিরও দাবি জানিয়েছে ভূক্তভোগীরা।