হ্রদের পাড় দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ রোধে নাগরিক সমাজকে সচেতন থাকতে হবেঃ ডিসি মামুন

350

॥ মাসুদ পারভেজ নির্জন ॥
এ বছর পাহাড়ে তুলনামূলক কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় কাপ্তাই হ্রদে পানি স্বাভাবিকের তুলনায় কম রয়েছে। পানি কম থাকার সুবাদে হ্রদের পাড় দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের প্রবণতা বৃদ্ধি বা নির্মাণ প্রচেষ্টা হতে পারে উল্লেখ করে এ বিষয়ে নাগিরিক সমাজকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জেলাপ্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন হ্রদের পাড়ে অবৈধ স্থাপনা যেমন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর তেমনি হ্রদের বিপর্যয়ের জন্যও দায়ী। তাই এ ধরণের কোনো অননুমোদিত স্থাপনা নির্মাণ প্রচেষ্টা চোখে পড়লে সাথে সাথে জেলাপ্রশাসনকে অবহিত করা আহ্বান জানিয়েছেন ডিসি। এ বিষয়ে প্রশাসন ও পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

ডিসি আরো বলেন, রাঙামাটি শহর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ফুটপাত অপদখলকারী ব্যবসায়ী এবং নির্মাণ সামগ্রী রাখার প্রবণতা রোধ করতে হবে। এজন্য পৌরসভাকে সম্পৃক্ত করে প্রতি সপ্তাহে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য এডিএমকে তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন তিনি। ডিসি এসময় পৌর মেয়রকে অনুরোধ করেন যে, রাঙামাটি শহরের আকর্ষণীয় স্থান ফিশারী সংযোগ সড়কের শোভাবর্ধনে প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন।

রোববার রাঙামাটি জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় এ আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক। সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় রাঙামাটিতে মাদকের বিভিন্ন ঘাঁটি চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান ও মাদক নিয়ন্ত্রণে যেকোন পদক্ষেপ গ্রহণে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে স্থানীয় প্রশাসন বিশেষত এনএসআই, ডিজিএফআই, পুলিশ প্রশাসন অবহিতকরণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগের সাম্প্রতিক কর্মকান্ড বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি এসিযুক্ত মসজিদগুলো সার্বিক তদারকি বৃদ্ধিকরণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। রাঙামাটিতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের হার হ্রাস পাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করে ডিসি বলেন, আমাদের সতর্কতা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি জেলার সকল অফিসকে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

সড়ক বিভাগের চলমান কাজের অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা বিশেষত আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়ক (তিনটি সেতু সমেত ১৮ কি.মি. দীর্ঘ) ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পাশের সড়কের নির্মাণকাজের অগ্রগতি সম্পর্কিত আলোচনা করা হয়।

সভায় পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিল্পী রানী রায়, বিএফডিসির ব্যস্থাপক লেঃ কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রোমান, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মিজানুর রহমানসহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ ও তাদের প্রতিনিধিবৃন্দ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় প্রতিনিধিগণ ছাড়াও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।