১০ বছর ধরে একই অফিসে বরকলের এলজিইডি কার্যসহকারী

153

॥ ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি ॥

রাঙামাটির বরকল উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অফিসে কার্য সহকারী পদে কর্মরত প্রণয় চাকমা বদলীর অফিস অর্ডার পেয়েও কর্মস্থলে যোগদান করেননি বলে অভিযোগ পাওয়াা গেছে।
জানা যায়, বরকল উপজেলা এলজিইডি অফিসের কার্য সহকারী পদে প্রণয় চাকমা দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ২০১৩ সালে বরকলে যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি একই অফিসে একটানা ১০ বছর যাবৎ বহাল তবিয়তে রয়েছেন। গত ৯ জুলাই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো; আব্দুর রশীদ খান এক অফিস আদেশের মাধ্যমে প্রনয়কে প্রথমে লংগুদু উপজেলা এলজিইডি অফিসে বদলী করেন। কিন্তু বদলীর আদেশ না মানায় পরবর্তীতে আবার প্রণয় চাকমাকে খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলা এলজিইডি অফিসে বদলি করা হয়। কিন্তু বদলী আদেশের পর গত আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও সেই আদেশ অমান্য করে বদলিরকৃত কর্মস্থলে যোগদান না করে এখনও বরকল উপজেলা এলজিইডি অফিসে হিসাব সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চলছেন প্রনয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রণয় একই অফিসে দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরি করার সুবাদে তার একটি বল্যয় তৈরি করে নিয়েছেন এবং এই প্রক্রিয়ায় তিনি অনিয়ম, অসামাজিক কার্যকলাপ ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। তিনি বরকল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান চাকমা ও উপজেলা প্রকৌশলী মো: মশিউল ইসলাম খান এর সাথে যোগসাজস করে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) ফান্ডের ভূয়া বা কাল্পনিক প্রকল্প দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করা এবং বরকল উপজেলা কর্মচারী ক্লাবে বসে জুয়ার আসরে আসক্ত হওয়ার সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। এছাড়া, নাম প্রকাশ না করার শর্তে বরকলের অনেক ঠিকাদার অভিযোগ করেছেন যে, প্রণয় তাদের কাছ থেকে অফিস খরচ দেখিয়ে ১০-১২ পারসেন্ট ঘুষ নিয়ে থাকে।

এ ব্যাপারে কার্য সহকারী প্রণয় চাকমাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, ২০১৩ সাল থেকে বরকলে কর্মরত আছেন। সম্প্রতি তাকে বরকল অফিস থেকে প্রথমে লংগুদু উপজেলা কার্যালয়ে ও পরবর্তীতে খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলাতে বদলি করা হয় বলে স্বীকার করেন। উধর্¦তন কর্তৃপক্ষের বদলীর আদেশ কেন অমান্য করা হচ্ছে বলে জিজ্ঞেস করা হলে প্রনয় জানান, বর্তমানে বরকল এলজিইডি অফিসে জনবল সংকটের কারনে তাকে সেখানে রেখে দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মশিউল ইসলাম খান জানান, তারঁ অফিসে যথেষ্ট লোকবল নেই। তাই নতুন লোক যোগদান না করায় প্রণয়কে ছাড়া হচ্ছে না।

তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো; আব্দুর রশীদ খান যিনি বর্তমানে রংপুরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তাঁকে প্রণয়ের বদলীর আদেশ অমান্য করা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, অতি শিঘ্রই প্রণয়কে স্ট্যান্ড রিলিজ করা কবে। তাতে যদি অমান্য করা হয় প্রণয়ের বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টার মামলা করা হবে বলে জানান আব্দুর রশীদ খান।