১১ কিশোরী পাচার ঘটনায় ২ জনের ৩দিনের রিমান্ড

281

craimer in hill

বান্দরবান প্রতিনিধি- ২০ মার্চ ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : বান্দরবান থেকে ১১ শিশু-কিশোরী মায়ানমারে পাচারের অভিযোগে আটক ১ বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ ২ জনকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রোববার অভিযুক্ত বৌদ্ধ ভিক্ষু উসিরি এবং উচ থোয়াই মারমাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আফরোজ চৌধুরীর আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত যুক্তিতর্ক শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২ মাস আগে ৯ থেকে ১৯ বছরের ১৩ শিশু-কিশোরীকে মায়ানমার পাচার করে একটি চক্র। মায়ানমার সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং স্থানীয় ভিক্ষুদের পারস্পরিক সমঝোতায় গত ১৯ মার্চ ভোরে ১১ শিশু -কিশোরীকে ফেরত আনা হয়। ঐদিন সকালে উলাবুনিয়া বিজিবি ক্যাম্প থেকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন এবং দুপুর দেড়টায় গাড়ী যোগে ১১ শিশু-কিশোরীকে বান্দরবান ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। ১১ শিশু-কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার দুপুর থেকে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত ডিবি হেফাজতে রাখা হয়।

এদিকে, রবিবার দুপুরে পাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত বৌদ্ধ ভিক্ষু উসিরি এবং পথপ্রদর্শক উচ থোয়াই মারমাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করা হয়। আদালত উভয়কে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে এবং মায়ানমার থেকে ফিরিয়ে আনা ১১ শিশু-কিশোরীকে মেডিক্যাল শেষে সোমবার আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়।

অপরদিকে ১১ শিশু-কিশোরীকে মায়ানমার থেকে ফিরিয়ে আনতে মুখ্য ভুমিকা পালনকারী  কেপিএম বৌদ্ধ বিহারের বৌদ্ধ ভিক্ষু  হেমানন্দ ডিবি পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন এবং শনিবার সন্ধ্যার পর ১১ শিশু-কিশোরীকে নির্যাতনের অভিযোগ আনেন। তিনি জানান, ফিরিয়ে আনা শিশু-কিশোরীরা স্বেচ্ছায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করার জন্য মায়ানমারের একটি বৌদ্ধ মন্দিরে যান। এখানে পাচারের বিষয়টি অমুলক। একটি চক্র বিষয়টিকে অন্যদিকে নিয়ে যেতে এ ধরনের কাজ করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এদিকে, মেদো মারমা জানান, মায়ানমার থেকে তাদের শিশুদের ফিরিয়ে আনার পর এখনো পর্যন্ত কোন ধরনের স্বাক্ষাত কিংবা যোগাযোগ করতে দেয়নি পুলিশ। এ বিষয়ে তারা নানা ধরনের শংকায় রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

পোস্ট করেনন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান