৪ সেপ্টেম্বর তিন পার্বত্য জেলায় হরতল

662

rangamati  hill

২ সেপ্টেম্বও ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি: ৪ সেপ্টেম্বর ভূমি কমিশনের বৈঠক স্থগিত করার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হস্থক্ষেপ কামনা কওে ঐ দিন তিন পার্বত্য জেলায়  বিতর্কিত ভূমি কমিশনের বৈঠকের প্রতিবাদে হরতাল আহব্বান করেছে সাংবিধানিক সমঅধিকারের জন্য আন্দোলনরত ৫ বাঙালি সংগঠন। পার্বত্য চট্রগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১ ও সংশোধনী ২০১৬ বাস্তবায়নের জন্য খুব তড়িগড়ি করে ৪ঠা সেপ্টেম্বর রাঙামাটিতে বৈঠক করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তিন পার্বত্য জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ও ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়। আজ গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি সফল করতে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া সর্বস্তরের বাঙালিদের সাহায্য ও  সহযোগিতা কামনা করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, পার্বত্য জনগণের আন্দোলনকে উপেক্ষা করে বাঙ্গালীদের আবেগের সাথে এক ধরনের তামাশা করে, সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১ ও  তার সংশোধনী ২০১৬ বাস্তবায়নের জন্য খুব তড়িগড়ি করে এ বৈঠক ডেকেছে। তাই বৈঠকের প্রতিবাদে এ হরতালের কর্মসূচি দেয়া হলো । বিবৃতিতে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্রগ্রামের উপজাতিদের বিষয়ে সকল সরকারই রহস্যজনক ভাবে বেশী আন্তরিক । বাঙালিরা যেন দেশেরে কেউ নন। পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন- ২০১৬ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়ার বিষয়ে সরকার কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করেছে। পার্বত্য এলাকায় একজন মাত্র বাঙালি এমপি আছেন , তাকেও এ কমিটিতে রাখা হয়নি। এছাড়া কমিশনে বাঙ্গলীদের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধিও রাখা হয়নি ।

পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুঁইয়া, এবং বাঙালী  ছাত্র পরিষদের  কেন্দ্রীয় সভাপতি মো: সাব্বির আহমেদ এক যৌথ বিবৃতিতে ৪ সেপ্টেম্বরের ভূমি কমিশনের বৈঠক স্থগিত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্থক্ষেপ কামনা করে বিতর্কিত আইন বাতিলের দাবিসহ বাঙ্গালীদের প্রানের  দাবি এ মুহুর্তে বৈঠকটি স্থগিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এবং পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সচিব নবকিশর বিক্রম ত্রিপুরাকে মন্ত্রনালয় থেকে অপসারনেরও দাবি জানান। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান।