৫৩তম স্বাধীনতা দিবসে বীর শহীদদের প্রতি রাঙামাটির সর্বস্তরের মানুষের গভীর শ্রদ্ধা

104

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

প্রাণের মাতৃভূমির ৫৩তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে রাঙামাটির সর্বস্তরের মানুষ। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার শপথের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় রাঙামাটিতে উদযাপিত হয়েছে ৫৩তম মহান স্বাধীনতা দিবস। এ উপলক্ষে জেলা সদরসহ দশ উপজেলায় সরকারি ও বেসরকারিভাবে দিনব্যাপী পালিত হয় বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা।

রোববার (২৬ মার্চ) সূর্যদোয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিনের সূচনা হয়। এর পরপরই মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের আত্মার প্রতি গভির শ্রদ্ধানিবেদন করে শহীদ মিনারে পূষ্পার্ঘ প্রদানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। প্রথমেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান; এসময় তাঁর সাথে ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ (বিপিএম বার)সহ জেলাপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।দিবসটি ঘিরে প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ ছাড়া রাঙামাটি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্যবৃন্দ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আলম চৌধুরীসহ সকল দপ্তর, প্রেস ক্লাব, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে পুস্পমাল্য অর্পণের মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধা নিবেন করা হয়।

পরে শহরের ভেদভেদী এলাকায় স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন এবং রাঙামাটি চিংহ্লা মং মারী ষ্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজে পুলিশের ব্যান্ডের তালে তালে পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন স্কুলের স্কাউট ও কাব লিডার টিমের সদস্যরা সালামী মঞ্চের দিকে এগিয়ে গিয়ে সালাম প্রদর্শন করেন। এছাড়া রাঙ্গামাটির শত শিল্পীদের অংশ গ্রহণের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।

এর বাইরে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, বিকালে কাবাডি প্রতিযোগিতা, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, রশি টানাটানি ও মহিলাদের ক্রীড়ানুষ্ঠান এবং সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিল্পকলা একাডেমীতে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও এদিন শিশু-কশোরসহ সর্বসাধারণের জন্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক উনস্টিটিউট উন্মুক্ত রাখা হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রদর্শন করা হয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র।