আজ বৃহস্পতিবার থেকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শুরু হতে যাচ্ছে ‘৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা-২০১৮’। শহরের কুমার সমিত রায় জিমনেশিয়ামে অনুষ্ঠেয় মেলাটি চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত। মেলা ঘিরে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বের করা হবে বর্ণাঢ্য র্যালী।
একই সময়ে উন্নয়ন মেলার থিম সং বাজিয়ে সুসজ্জিত পিকআপ ভ্যান শহর জুড়ে মেলার বিষয়ে শহরবাসীকে জানান দিবে। এর পরপরই সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এই মেলার উদ্বোধন করবেন।
‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য বিষয় সামনে নিয়ে আজ থেকে সারা দেশেই সকল জেলা ও উপজেলা সদরে ‘৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ। মেলা ঘিরে বিভিন্ন সরকার বেসরকারী দপ্তরের কার্যক্রমসহ সকল আয়োজনের সার্বিক বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক তার লিখিত বক্তব্যে বর্তমান সরকারের বিগত চার বছরের সাফল্য, রাঙামাটি জেলাসহ সারাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে উন্নয়নের একটি সংক্ষপ্ত চিত্র সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা নিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে অপতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অর্থণীতি শিক্ষা স্বাস্থ্য সামাজিক সাস্কৃতিক সহ সকল ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা তুলে ধরাই হবে এ মেলার উদ্দেশ্য।
জেলা প্রশাসক আনন্দের সাথে জানান যে, জাতীয়ভাবে রাজধানীতে আয়োজিত উন্নয়ন মেলায় দেশের ২৪টি জেলার মধ্যে রাঙামাটি জেলাও ষ্টল দেওয়ার জন্য আমন্ত্রিত হয়েছে। তিনি জানান, বিগত তৃতীয় উন্নয়ন মেলায় রাঙামাটি জেলা সাফল্যের সাথে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রা জনগণের সামনে তুলে ধরাসহ সফল মেলা পরিচালনা করায় এই জেলা উল্লেখিত জাতীয় সাফল্য অর্জন করেছে।
জাতীয়ভাবে রাঙামাটি জেলাকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদানের এই গর্ব সকল সরকারি কর্মকর্তা ও জেলাবাসীর বলে উল্লেখ করেন তিনি। এবার মেলাকে সার্বিকভাবে সফল করতে সকল সরকারি দফতরের কার্যকর অংশ গ্রহণ এবং সর্বস্তরের মানুষকে মেলায় ভ্রমণের আহ্বাণ জানান তিনি। মেলায় শিশুদের জন্য বিনোদনের পাশাপাশি অন্যান্য খেলাধুলার ব্যবস্থা এবং জলযোগের ব্যবস্থাও থাকছে।
আজ সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনের পরপরই প্রধানমন্ত্রীর ১০টি উদ্যোগ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা বিষয়ের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বিকেলে থাকছে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলায় তিনদিনই বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা সভা, শিশু কিশোরদের রচনা ও বক্তৃতা প্রতিযোগীতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই মেলা শেষ হবে।
মেলায় বিভিন্ন সরকারি দফতর তাদের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরার জন্য নির্জ নির্জ ষ্টলে অবস্থান করবে। এ জন্য শতাধিক ষ্টলের ব্যবস্থা রয়েছে।