॥ এম.নাজিম উদ্দিন ॥
বাঘাইছড়ি উপজেলার প্রসিদ্ধ দুরছড়ি বাজারে আবারও ভয়াবহ আগুনে পুড়েছে; পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ৬৯টি দোকান। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গিয়ে আহত হয়েছে স্থানীয় ৫ যুবক। তাদের স্থানীয় দুরছড়ি সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উপজেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুরছড়ি বাজারের মিলন দে’র তেল-গ্যাসের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিল্টু চাকমা।
চেয়ারম্যান বিল্টু চাকমা বলেন,মিলন দে গ্যাসের চুলা মেরামত করে আগুন জ্বালিয়ে পরীক্ষার সময় পাশে থাকা অকটেনে আগুন লেগে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর ব্যবসায়ী মিলন দে পালিয়ে যায়।
আগুনের সংবাদ পাওয়া পর মারিশ্যা জোনের বিজিবি ও দুরছড়ি সেনাবাহিনী ক্যাম্পের শতাধিক সদস্য স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে পার্শবর্তী উপজেলা দীঘিনালা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রায় ৩ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনার পরপরই খাগড়াছড়ি ২০৩ রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার পুড়ে যাওয়া বাজার পরিদর্শন করছেন।
এসময় রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দুরছড়ি বাজারে একটি ফায়ার পয়েন্ট স্থাপন করা হবে বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন,আগুনে ৬৯টি দোকান পুড়ে গেছে। ‘ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সহায়তা করা হবে।’
এদিকে, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবী প্রায় ৪০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সাকরিয়া হায়দার বলেন,‘আমার এখনো কাজ করছি,কাজ শেষে তদন্তের মাধ্যমে আগুনের বিস্তারিত কারণ জানা যাবে ’।
দেশের বৃৃহৎ উপজেলা বাঘাইছড়িতে ফায়ার স্টেশন না থাকায় প্রায়ই অগ্নিকান্ডে নিঃস্ব হয় মানুষ।