আবারো পানিতে ডুবে গেলো রাঙামাটির সিম্বল ঝুলন্ত সেতু

442

॥ এম.নাজিম উদ্দিন ॥

আবারও পানির নীচে ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’ খ্যাত ঝুলন্ত সেতুর পাটাতন। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ও উজানের ঢলে পানি বাড়তে থাকায় ডুবে গেছে। পর্যটন কমপ্লেক্স্রের ব্যবস্থাপক জানান, পাটাতন ডুবে যাওয়ায় সেতুতে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বডুয়া বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির কারণে সেতুর পাটাতন ডুবে গেছে। তাই কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আমরা সেতুর ওপর দর্শনার্থীদের চলাচল আপাতত বন্ধ করে দিয়েছি। পানি কমলে সেতুটি আবার পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

৮০এর দশকে একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে রাঙামাটি শহরের ডিয়ার পার্ক এলাকায় এই ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণ করে পর্যটন কর্পোরেশন। নির্মাণের সময় বলা হয়েছিল ১০ বছরের জন্য তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এই সেতু নির্মাণের পর রাঙামাটির পর্যটন ব্যবসার গতি প্রকৃতি পাল্টে যেতে থাকে; দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে এই সেতুর সৌন্দর্য সুনাম। এক পর্যায়ে সেতৃটি হয়ে উঠে পর্যটন শহর রাঙামাটির সিম্বল। সেতুর ছবি দেখলেই এখন যে কেউ ধরে নেয় এটা রাঙামাটি।সেতু নির্মাণের পর পেরিয়ে গেছে প্রায় চার দশক; কিন্তু সেতুটি কয়েকবার সামান্য সংস্কার করা হলেও এর জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে তা পুণনির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কিন্ত সময়ের বিবর্তনে কাপ্তাই হ্রদের তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় সেতুর অস্তিত্ব হুমকিতে পড়ে। গত এক দশক ধরে প্রতি বছর বর্ষা মওসুমে পানির নীচে তলিয়ে যায় সেতুর পাটাতন।

এদিকে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রাঙামাটিতে ঘুরতে আসা পর্যটকরা ঝুলন্ত সেতুতে উঠতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা রুমা ও সাব্বির দম্পতি বলেন,সেতুতে পানি ওঠায় পর্যটকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা এতো কষ্ট করে এখানে এলাম,কিন্তু ঝুলন্ত সেতু না দেখে চলে যেতে হচ্ছে।