স্টাফ রিপোর্ট- ১০ ডিসেম্বর ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি(সংবাদ বিজ্ঞপ্তি): আজ শনিবার, ১০ ডিসেম্বর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার গ্যালারি জুমে শুরু হয়েছে আলোকচিত্রী ফোজিত শেখ বাবুর “বাঁচাও নদী বুড়িগঙ্গা” শীর্ষক একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। বুড়িগঙ্গা নদী দখল ও দূষণমুক্ত করার দাবিতে জনসচেতনতামূলক এ প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন করা হয় । ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, বিশিষ্ট শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ এবং অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, উপাচার্য, ওয়াল্ড ইউনিভারসিটি অফ বাংলাদেশ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ পরিবেশ-বিপর্যয়, বৈশ্বিক ঊষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বিপর্যয়ের সম্মুখীন। নদীমাতৃক বাংলাদেশের অধিকাংশ নদ-নদী প্রতিকূল পরিবেশের কারণে আজ বিপর্যস্ত। বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতি ও অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা নদীকেন্দ্রীক শিল্প-কারখানা নদী দূষণের অন্যতম কারণ। দূষিত নদী প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য চরম হুমকিস্বরূপ। আমাদের অগোচরে প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে নদী। এতে হারিয়ে যাচ্ছে নদীর অসংখ্য জলজ প্রাণী। প্রায় ৪০০ বছর আগে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে গোড়াপত্তন হয়েছিল ঢাকা শহরের, তখন থেকেই বুড়িগঙ্গা ছিল ঢাকা শহরের প্রাণ। অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, জনসচেতনতার অভাব ও নদী তীর অবৈধ দখলের কারণে বুড়িগঙ্গা নদী আজ চরম দূষণের শিকার। অথচ আমরা একটু সচেতন হলেই এখনও বাঁচাতে পারি আমাদের প্রিয় এ নদীকে।
ফোজিত শেখ বাবু অনুসন্ধানী ফটো সাংবাদিকের পাশাপাশি একজন পরিবেশ সচেতন ব্যক্তি। তিনি ক্যামেরায় নদী দূষণের চিত্র ধারণ করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরই মধ্যে নদী দূষনের উপর মোট তিনটি একক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করার চেষ্টা করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা শহরের অন্যতম প্রাণ বুড়িগঙ্গা নদীর অবৈধ দখল ও দূষণ রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে “বাঁচাও নদী বুড়িগঙ্গা” শিরোনামে তাঁর এটি ৫ম একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী হয়।
প্রদর্শনীটি চলবে ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং শুক্রবার ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি খোলা থাকবে। রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ। প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো অফিস।